ছদ্মবেশে চুরি করতে গিয়ে গ্রেফতার ৪
বুধবার রাতে ঢাকার আদাবর থেকে কাজের বুয়ার বেশধারী চোরচক্রের হোতা রাশেদাকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে কাজের বুয়া ছদ্মাবেশী চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- রাশেদা ওরফে বকুল, হবি মিয়া, জামাল ও চন্দন বণিক। বুধবার রাতে ঢাকার আদাবর থেকে কাজের বুয়ার বেশধারী চোরচক্রের হোতা রাশেদাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে অপর তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বাসা চুরি করা ৩৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন ষোলশহর একটি বাসায় গৃহকর্মী ১০০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ৬০ হাজার চুরি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাসার গৃহকর্ত্রী সায়লা ইয়াসমিন খুকি বাদি হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গুরুত্ব বিবেচনায় মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হলে এডিসি (ডিবি-উত্তর) এর নেতৃতে একটি তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের এক পর্যায়ে ২০১৩ সালের ঢাকার গুলশান থানার একই রকম একটি চুরির ঘটনাকে সূত্র ধরে মূল আসামী গৃহকর্মীকে সনাক্ত করে। পরে ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বুয়া ছদ্মাবেশী রাশেদা স্বীকার করে গত ১৭ ডিসেম্বর বাসা হতে স্বর্ণ ও টাকা চুরি করে হবি মিয়ার বাসায় আত্মগোপন করে। সেখান থেকে চক্রের অন্য সদস্য জামাল ও রুবেল চোরাই স্বর্ণ সীতাকুন্ড থানাধীন ভাটিয়ারীতে একটি জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করে। সেই জুয়েলারি দোকানের মালিক চন্দন বণিককে গ্রেফতার করা হয়। পাশাপাশি তার দোকান হতে বাদির দেখানো মতে চুরি যাওয়া ৩৪ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের তথ্যমতে চক্রটি ২০১৩ সাল থেকে বাসায় চুরিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। তাদের চক্রে ৭-১০ জন সদস্য রয়েছে। কাজের বুয়া ছদ্মাবেশী চোরচক্রের হোতা রাশেদা চক্রের সদস্যদের সঙ্গে মিলে বিভিন্ন বাসায় কাজের লোক হিসেবে নিয়োজিত হয়। পরে সুযোগমতো বাসার লোকজনকে অচেতন করে বাসার স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। চুরি করা স্বর্ণ তার সহযোগীদের দিয়ে জুয়েলারি দোকানে বিক্রি করে থাকে।
সিএমপির এডিসি (গণমাধ্যম) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, ‘বাসায় স্বর্ণ চুরি চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চোরাই স্বর্ণও উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’