চিঠি দিল মোহামেডানও, ফেডারেশনের জরুরি সভা
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : প্রিমিয়ার হকি লিগ শুরুর সময় নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত শীর্ষ চার ক্লাব। ৬ মার্চ লিগ শুরুর দাবি আবাহনী, উষা ও মোহামেডানের, অন্যদিকে মেরিনার্সের চাওয়া ৮ মার্চ। দাবি পূরণ না হলে উষা, মেরিনার্স ও মোহামেডান না খেলার হুমকি দিয়েছে। আবাহনী সরাসরি না খেলার পরিবর্তে কঠোর সিদ্ধান্তের কথা লিখেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় জরুরি সভা ডেকেছে হকি ফেডারেশন। সন্ধ্যা ৭টায় মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে হকি ফেডারেশনের সভাকক্ষে এই সভা শুরুর কথা রয়েছে।
লিগ শুরুর সময় ও সূচি নির্ধারণের এখতিয়ার লিগ কমিটির। ২৯ ফেব্রুয়ারি লিগ কমিটির সভায় ৬ নাকি ৮ মার্চ লিগ শুরু এ নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল। আবাহনী ও উষা ছাড়া উপস্থিত সকল ক্লাবের প্রতিনিধি ৮ মার্চের পক্ষে মত দেয়। সেই সভায় অনুপস্থিত ছিল মোহামেডান। এমন পরিস্থিতিতে লিগ কমিটি বিষয়টি ফেডারেশনের সভাপতির কাছে প্রেরণ করে। ২ মার্চ ক্লাব কাপ হকির ফাইনালে প্রধান অতিথি হয়ে এসেছিলেন ফেডারেশন সভাপতি। সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে ৮ মার্চ লিগ শুরুর সময় ঠিক করে ফিকশ্চার চূড়ান্ত করে লিগ কমিটি।
ফিকশ্চার চূড়ান্ত হওয়ার পরদিন (গতকাল ৩ মার্চ) ফেডারেশনে কড়া চিঠি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আপত্তি জানায় উষা ক্রীড়া চক্র। উষা চিঠি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর আবাহনীও ৬ মার্চ লিগ শুরু দাবি জানিয়ে চিঠি দেয়। মেরিনার্স আবার ঘোষিত ফিকশ্চার অনুযায়ী লিগ শুরুর দাবি জানিয়েছে। আজ উষা ও আবাহনীর দাবির সঙ্গে একমত হয়েই ৬ মার্চ লিগ শুরুর দাবিতে চিঠি দিয়েছে মোহামেডানও। উষা চিঠিতে সরাসরি মেরিনার্সের নাম উল্লেখ করলেও মোহামেডান একটি ক্লাবকে সুবিধা প্রদানের অভিযোগ এনেছে।
হকি সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এই বিভেদের কারণ উষা ও শীর্ষ আরও দুই-একটি ক্লাব মনে করছে মেরিনার্সকে প্রাধান্য দিচ্ছে ফেডারেশন। আবার আরেক পক্ষের মতে, মাঠে সফল মেরিনার্সকে চাপে রাখতে শীর্ষ ক্লাবগুলো একজোট হয়েছে।
ক্লাব-ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব ও প্রাধান্য বিস্তার হকিতে নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে লিগকে কেন্দ্র করে অনেক ঘটনাই ঘটেছে হকিতে। এবার লিগ শুরুর একেবারে আগমুহূর্তে শুরুর সময় নিয়ে শীর্ষ ক্লাবগুলোর মতবিরোধ চরমে দেখা দিয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনে স্বার্থের সংঘাত অনেক খেলার মতো রয়েছে হকিতেও। ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তারা ক্লাবের পরিচয়ে ডাগ আউটে যেভাবে থাকেন আবার ক্লাবের স্বার্থ বিবেচনায় চিঠিও দেন ফেডারেশন শীর্ষ পদধারীরা। এই পরিস্থিতিতে আজকের সভায় কোনো সমাধানের পথ উন্মোচিত হয় নাকি নতুন সংকটের দিকে হাঁটবে হকি— সেটাই দেখার বিষয়।