খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সহজ করবে : মির্জা ফখরুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অভিযানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, চার মাস চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরে আসছেন বেগম জিয়া। এটি আমাদের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য আনন্দের দিন। কারণ তার দেশে ফিরে আসা আমাদের গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সহজ করবে। পুরো দেশকে বৈষম্যহীন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত করবে।
এদিকে দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে আছেন দুই পুত্রবধূ। খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কয়েকটি নির্দেশনাও জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ বিমান (এয়ার অ্যাম্বুলেন্স) স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৩৫ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় (সোমবার) রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতির পর আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারে আমলে বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় কারাবন্দি ছিলেন। এ সময় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে আওয়ামী সরকার।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।