কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

দৈনিক যায়যায়দিনের (কুবি) প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করায় শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

প্রথম নিউজ, কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠানে ‘দেশে দুর্নীতি হচ্ছে দেখেই উন্নতি হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। এ বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করায় দৈনিক যায়যায়দিনের (কুবি) প্রতিনিধি ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মনোয়ারকে সাময়িক বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২ আগস্ট) রাতে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈনের বক্তব্যকে বিকৃত করে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন ও সুপারিশে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের সভায় অনুমোদিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো আইনে বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করা হলে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় হয়নি দাবি করে উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে ফোনকল কেটে দেন রেজিস্ট্রার।

প্রক্টরিয়াল বডির সুপারিশের বিষয়ে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়েছি। তবে আমরা কোনো সাংবাদিককে বহিষ্কারাদেশের জন্য সুপারিশ করিনি। আমরা শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারাদেশ দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপাচার্যের মন্তব্য জানতে কল দেওয়া হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। খুদেবার্তা পাঠানো হলে শুধুমাত্র অফিসে গেলে কথা বলতে পারবেন বলে জানান। তবে রাত সাড়ে ৯টায় তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।