ধর্ষণচেষ্টার কারণে খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ

ধর্ষণচেষ্টার কারণে খুন হন হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ

প্রথম নিউজ, অনলাইন: রাজধানীর হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়া হত্যা মামলায় দম্পতি রুপা বেগম ওরফে জান্নাত ও নাজিম হোসেন আদালতে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরখান থানার উপ-পরিদর্শক জাহিদুল হাসান তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইসরাত জেনিফা জেরিনের আদালত রুপার এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলমের আদালত নাজিমের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, উপাধ্যক্ষ সাইফুর রহমান হত্যার নেপথ্যে কারণ ছিল ধর্ষণচেষ্টা। নাজিম হোসেন ও রুপা বেগম দম্পতিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাসায় নিয়ে অসদাচরণ ও নাজিমের অনুপস্থিতিতে আপত্তিকর আচরণ ও স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতেন সাইফুর রহমান। সবশেষ গত ৯ মার্চ রাতে তরুণীকে ধর্ষণচেষ্টা করলে তার স্বামী প্রতিবাদ করেন, এ সময় ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে দা দিয়ে সাইফুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান ওই দম্পতি। পরে ১১ মার্চ ফরিদপুর রেলস্টেশন এলাকা থেকে ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ মার্চ সকালে রাজধানীর উত্তরার উত্তরখান থানা এলাকার পুরানপাড়ার একটি বাসার চতুর্থ তলার ফ্ল্যাট থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ভূঁইয়াকে। দুর্বৃত্তরা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বাথরুমে আটকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশীরা বাথরুমের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর ১১ মার্চ নিহতের ভাই মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।