ওয়াগনার প্রধানের দাবিই মেনে নিলেন পুতিন?

কী ছিল সেই চুক্তিতে? রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয়দের প্রতিই ক্ষোভ ছিল প্রিগোজিনের।

ওয়াগনার প্রধানের দাবিই মেনে নিলেন পুতিন?

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ওয়াগনার প্রধানের শর্ত মেনে নিলেন পুতিন।  ভাড়াটে সেনাদের বহর নিয়ে মস্কো যাওয়ার মাঝপথ থেকেই ফিরে আসে ওয়াগনার বাহিনী। কারণ ততক্ষণে ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের সঙ্গে শান্তি চুক্তি হয়ে গেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। কিন্তু কী ছিল সেই চুক্তিতে? রুশ সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয়দের প্রতিই ক্ষোভ ছিল প্রিগোজিনের। তাদের উৎখাতের জন্যই বিদ্রোহ ঘোষণা করেন পুতিনের একসময়ের বিশ্বস্ত এ ‘বাবুর্চি’। বিপদে পড়ে কি সেই দাবিই মেনে নিলেন পুতিন? পুরো দৃশ্যটি এখনো পর্দার আড়ালে।

তবে রোববার সকাল পর্যন্ত প্রিগোজিনের বেলারুশ পৌঁছানোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রিগোজিনের নেতৃত্বে ওয়াগনার বাহিনী রাশিয়ার পক্ষে থাকবে কি-না, এ নিয়েও চলছে ধোঁয়াশা এ ঘটনার পরপরই গুঞ্জন উঠেছে-রাশিয়ান প্রতিরক্ষা প্রধান সের্গেই সইগুকে বরখাস্ত করেছেন পুতিন। ঘটনা সত্য হলে এ পদক্ষেপকে প্রিগোজিনকে সন্তুষ্ট করার উপায় হিসাবেই দেখছে অনেকে। অন্যদিকে একটি ভিডিও বার্তায় দেখায়, গাড়িতে করে নাটকীয়ভাবে প্রস্থান করছে প্রিগোজিন। দুই দশকের বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট পুতিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল প্রিগোজিনের বিদ্রোহ ঘোষণা। 

এমতাবস্থায় পুতিন কী করবে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, আপাতত শান্ত থাকলেও পরবর্তীতে অবশ্যই শক্তি প্রদর্শন করবেন। প্রতিক্রিয়া জানাবেন। যা তিনি সবসময়ই করে আসছেন। এমনও হতে পারে টেলিগ্রাম চ্যানেলসহ রাশিয়ান অভ্যন্তরীণ মিডিয়ায় নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করা হবে।  ইউক্রেন আগামী সপ্তাহে ফ্রন্টলাইনে রুশ দুর্গ ভেঙে দিলে প্রিগোজিনের বিশ্বাসঘাতকতাকে দায়ী করবেন তিনি। 

ওয়াগনার প্রধানের আকস্মিক হামলার ঘোষণায় শনিবার রাশিয়াজুড়ে ছিল থমথমে পরিবেশ। রাজধানী মস্কো থেকে মাত্র ১২০ মাইল দূরে অবস্থান ছিল বাহিনীটির। তবে ঘোষণার মাত্র ১১ ঘণ্টার মাথায় শনিবার সন্ধ্যায় পালটে যায় প্রিগোজিনের সমীকরণ। টেলিগ্রাম বার্তায় ওয়েগনার প্রধান জানান, ‘আমরা আমাদের রাস্তার মোড় ঘুরিয়েছি এবং ফিল্ড ক্যাম্পে ফিরে যাচ্ছি।’