এস এস সি পরীক্ষার্থী যুবলীগ নেতাকে কক্ষে নিয়ে পেটালেন ওসি

বুধবার নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এসে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে হাঁস নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওসি তার কক্ষে তাদের দুই ভাইকে মারধর করেন।

এস এস সি পরীক্ষার্থী যুবলীগ নেতাকে কক্ষে নিয়ে পেটালেন ওসি

প্রথম নিউজ, নোয়াখালী: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যুবলীগ নেতা ও এসএসসি পরীক্ষার্থীকে থানার নিজ কক্ষে আটকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার মো. পারভেজ (২৪) উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এবং মো. হৃদয় যুবলীগ নেতা পারভেজের চাচাতো ভাই। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী।

বুধবার নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এসে ভুক্তভোগীরা সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে হাঁস নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওসি তার কক্ষে তাদের দুই ভাইকে মারধর করেন। তবে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবপ্রিয় দাশ অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, এটা মিথ্যা। পিঠের রক্তাক্ত মারের দাগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পিঠের দাগগুলো আপনারা দেখেন। পুলিশ কি এভাবে মারে? আমি এই একটা প্রশ্নই রাখলাম।

ভুক্তভোগী পারভেজ অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার ধানখেতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে তার চাচা আবু জাফরের সঙ্গে প্রতিবেশী ইমাম উদ্দিনের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিকালের দিকে চরজব্বর থানার একদল পুলিশ উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে আমাকে এবং হৃদয়কে ধরে নিয়ে যায়। পরে শুক্রবার ও শনিবার সারা দিন থানার হাজতে আটকে রাখে। শনিবার বিকালের দিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য থানায় গিয়ে ওসিকে টাকাপয়সা দিয়ে আমাদের থানাহাজত থেকে বের করে নিয়ে আসেন।

পারভেজ আরও বলেন, শনিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে থানার ওসি দেবপ্রিয় দাশ তার কক্ষে দুই ভাইকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। আমার শরীরে এখনো মারের দাগ আছে। ওসি দেবপ্রিয় দাশ আরও বলেন, লিখিত অভিযোগের আলোকে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছিল। পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে দুইপক্ষ। এজন্য কোনো মামলা নেওয়া হয়নি।