উত্তাল সময়ে শ্রম খাতের অগ্রগতি দেখতে ঢাকা আসছে ইইউ প্রতিনিধি দল
ঢাকা সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে, যা বিরতিহীনভাবে চলবে ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত।
প্রখম নিউজ ডেস্ক: ন্যূনতম মজুরি নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের এই সময়ে দেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনায় ইইউ'র উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনির নেতৃত্বাধীন দলটি আগামী ১২ই নভেম্বর থেকে তাদের ঢাকা সফরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে, যা বিরতিহীনভাবে চলবে ১৭ই নভেম্বর পর্যন্ত। ৫ দিনের ওই সফরে তারা গুরুত্বপূর্ণ বেশ ক'টি বৈঠক করবে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ১৫ই নভেম্বর শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (৩ সচিব) সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠক। তাছাড়া তারা আলাদাভাবে কথা বলবে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সঙ্গে। এসব বৈঠকে শ্রমিক অসন্তোষ, শ্রম খাতের সমস্যা-সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার তথা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রুটিন সফরে বাংলাদেশ গৃহীত শ্রম খাতের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখতে আসছে ইইউ প্রতিনিধি দল। কিন্তু তারা এমন একটি সময়ে ঢাকার মাটিতে পা রাখছেন যখন বাংলাদেশের রাজনীতি এবং শ্রম খাতে নানা ঘটনা ঘটছে। বিরোধী দল হরতাল-অবরোধ পালন করছে।
মামলা এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে বিরোধীদের দৌড়ের ওপর রেখে সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সময়ের কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইইউ প্রতিনিধি দলের আসন্ন সফরে শ্রম আইন সংশোধন পরবর্তী পরিস্থিতি, শিশু শ্রম বিলোপ ও শ্রমিকবিরোধী সব ধরনের সহিংসতা নিরসনসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। সেখানে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি সঙ্গত কারণেই আলোচনায় আসবে। তাছাড়া আলোচনায় আসতে পারে ইপিজেডে শ্রমিকদের অধিকার, সব ধরনের সহিংসতা, নিপীড়ন, হয়রানি বন্ধ, অন্যায্য শ্রম নিরসন, শ্রম ইউনিয়ন বিরোধী তৎপরতা রোধ, শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গতভাবে ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ প্রদান, ন্যূনতম মজুরি এবং বাধ্যতামূলক শ্রম বন্ধের মতো বিষয়গুলোও। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রম অধিকার সুরক্ষা এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারের ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালে শ্রম খাতের উন্নয়নে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বা এনআইপি গৃহীত হয়। ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নে আইএলও এবং অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদাররা সহযোগিতা করছে।