আম্বানির ছেলের বিয়েতে মুম্বাইবাসী বিরক্ত?

মধ্য মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে আজ গাঁটছড়া বাঁধবেন ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট।

আম্বানির ছেলের বিয়েতে মুম্বাইবাসী বিরক্ত?

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: জামনগর থেকে ইতালি। গত চার মাস ধরে প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠান চলার পর এবার মূল বিয়ে। মধ্য মুম্বাইয়ের জিও ওয়ার্ল্ড সেন্টারে আজ গাঁটছড়া বাঁধবেন ভারতের শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকা মার্চেন্ট। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে গায়েহলুদ ও সংগীত অনুষ্ঠান। অনন্ত এবং রাধিকা দীর্ঘদিন ধরে প্রেম করার পর ২০২৩ সালে বাগদান সারেন।

দুজনের বিয়ে রীতিমতো রাজকীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। কিন্তু তাদের বিয়ের কারণে মুম্বাইয়ের বাসিন্দাদের পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন  সমস্যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ভেন্যুর আশপাশে যান চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। নগর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুপুর ১টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারের কাছে শুধুমাত্র ইভেন্টের যানবাহনকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। চলাচল সীমিত হবে সাধারণ মানুষের। এতে যানজটের আরো অবনতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মুম্বাই ট্রাফিক পুলিশ জানায়, বিয়ে উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক অতিথি এবং ভিআইপিরা উপস্থিত থাকবেন। অতিথিদের ‘অসুবিধা এড়াতে’ এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদনে বলা হয়, নোটিসে অনন্ত-রাধিকার বিয়েকে ‘পাবলিক ইভেন্ট’ অভিহিত করা হয়। এটি স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তারা বলছিলেন, মুম্বাইয়ের বাসিন্দাদের বিরক্ত করা উচিত নয় যাতে কোনো ধনকুবের একটি বড় পার্টি দিতে পারে। মুম্বাইকে ভারতের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে দেখা হয়। যেখানে বিয়েটি হচ্ছে সেই স্থানটি সবচেয়ে জনবহুল ও ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টার সংলগ্ন একটি অফিসের সিইও সোনম শ্রীবাস্তব। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে আগেই পরিকল্পিত গুরুত্বপূর্ণ ক্লায়েন্ট মিটিং এবং ইভেন্টগুলো পুনরায় নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়েছি। একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্রের ট্রাফিক ব্যবস্থা স্থবির হয়ে পড়ার বিষয়টি উদ্বেগজনক।’

আম্বানি পরিবার গত মার্চ মাসে জামনগরে প্রাক-বিয়ের আয়োজন করেছিল। সেখানে বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ এবং ইভাঙ্কা ট্রাম্পের মতো বিশ্বের কয়েকজন অভিজাত ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকা সে সময় জানিয়েছিল, প্রায় ১৫০টি বিমান স্থানীয় বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এজন্য বিমানবন্দরে কাস্টমস, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কোয়ারেন্টাইন (সিআইকিউ) সেন্টার স্থাপন করে অতিথিদের জন্য অতিরিক্ত সক্ষমতার ব্যবস্থা করা হয়।