অবৈধভাবে যুবদল নেতা মুন্নাকে জেলখানায় আটকে রাখার অভিযোগ
গতকাল মোনায়েম মুন্নার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী এ অভিযোগ করেন।

প্রথম নিউজ, অনলাইন: হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নাকে অবৈধভাবে জেলখানায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার আইনজীবী। গতকাল মোনায়েম মুন্নার আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে এভাবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো কেন অবৈধ হবে না মর্মে রুল ইস্যু করে এবং রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জেলগেট থেকে কোনো মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে গ্রেপ্তার না দেখাতে নির্দেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের রায় ৬৯ ডি এল আর পেজ নম্বর ৬৩ অনুসরণ করতে বলা হয়। কিন্তু যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা থানার মামলায় উচ্চ আদালতের এই আদেশ অগ্রাহ্য করে গ্রেপ্তার দেখায়। যেখানে আবদুল মোনায়েম মুন্নার নাম এজাহারে নাই। তবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মানবজমিনকে বলেন, মোনায়েম মুন্নার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলার জামিননামা না পাওয়ার কারণেই মূলত তাকে ছাড়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, জামিননামা পেলে কোনো আসামিকে আটকে রাখার ক্ষমতা আমাদের নেই।
আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, গত ৮ই মার্চ বিনা পরোয়ানায় আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরবর্তীতে শাহজাহানপুর থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে পাঠানো হয় পরের দিন। এরপর থেকে এক মামলায় জামিন হলেও অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে পাঠায় পুলিশ এবং রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। এভাবে ৭টি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। যার একটি মামলায়ও তার নাম এজাহারে নাই। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করি।
হাইকোর্ট আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে এভাবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো কেন অবৈধ হবে না মর্মে রুল ইস্যু করে এবং রুল শুনানি না হওয়া পর্যন্ত জেলগেট থেকে কোনো মামলায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে গ্রেপ্তার না দেখাতে নির্দেশ প্রদান করেন। একইসঙ্গে আপিল বিভাগের রায় ৬৯ ডি এল আর পেজ নম্বর ৬৩ অনুসরণ করতে বলা হয়। কিন্তু যাত্রাবাড়ী থানার জিআরও উচ্চ আদালতের এই আদেশ অগ্রাহ্য করে পুনরায় একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। যেখানে আবদুল মোনায়েম মুন্নার নাম এজাহারে নাই।
যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুন্নার আইনজীবী মেহেদী হাসান জুয়েল বলেন, গত ৩০শে আগস্ট আবদুল মোনায়েম মুন্নার সকল মামলার জামিননামা বিকাল ৫টায় জেলগেটে দাখিল করলে জেল কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ নয় কাল সকালে ছেড়ে দেবে। কিন্তু দেখা যায়, সেদিন ছেড়ে না দিয়ে তাকে হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ না মেনে জেলখানায় অবৈধভাবে আটকে রাখা হয়েছে। যা মানবাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করে। তিনি বলেন, পরবর্তীতে জানা যায়, আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে পুলিশ হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ অমান্য করে রামপুরা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়। নিম্ন আদালত গ্রেপ্তার বিষয়ক শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য রয়েছে এবং তাকে জেলখানা থেকে কোর্টে আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।