অনলাইন জুয়ার হোতা সেলিম প্রধানের জামিন শুনানি বুধবার

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অনলাইন জুয়ার হোতা সেলিম প্রধানের জামিন শুনানি বুধবার

প্রথম নিউজ, ঢাকা: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানের জামিন আবেদনের শুনানি আগামীকাল বুধবার। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, চেম্বার জজ আদালতে বুধবার সেলিম প্রধানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে। আমরা তার জামিনের বিরোধিতা করব। এর আগে গতকাল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় আট বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান জামিন চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন।

গতকাল (সোমবার) সেলিম প্রধানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল বলেছিলেন, সম্প্রতি সাজার বিরুদ্ধে সেলিম প্রধানের আপিল গ্রহণ করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এখন আমরা আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে সেলিম প্রধানের জামিন চেয়ে আবেদন করেছি।

গত ৩০ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানকে আট বছর কারাদণ্ড ও ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। ঢাকার বিশেষ আদালত-৮ –এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটকের পর তার রাজধানীর গুলশান-বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

মামলায় বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করেছেন সেলিম প্রধান, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার জানান, অবৈধভাবে উপার্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন সেলিম, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।