অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সইয়ে আকিজ লাইফের অর্থ লেনদেন

আইন অনুসারে প্রিমিয়ামের সেই টাকা গ্রাহকের ফেরত দেওয়ার দায়বদ্ধতা সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির। তাই গ্রাহকের জমা করা এসব টাকা লেনদেন বা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাও থাকে ওই বিমা কোম্পানির হাতে।

অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সইয়ে আকিজ লাইফের অর্থ লেনদেন

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিমা পলিসি ইস্যু করে গ্রাহকের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে বিমা কোম্পানি। আইন অনুসারে প্রিমিয়ামের সেই টাকা গ্রাহকের ফেরত দেওয়ার দায়বদ্ধতা সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির। তাই গ্রাহকের জমা করা এসব টাকা লেনদেন বা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাও থাকে ওই বিমা কোম্পানির হাতে।

অথচ এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছে নতুন অনুমোদন পাওয়া আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসি। কোম্পানিটির গ্রাহকদের জমা করা বিমার টাকা লেনদেন হচ্ছে আকিজ গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার সইয়ে। আকিজ ফুডের কর্মকর্তাদের অনুমোদন বা সই ছাড়া প্রিমিয়ামের টাকা লেনদেনের ক্ষমতা নেই আকিজ তাকাফুল লাইফের কর্মকর্তাদের। ফলে বিমা গ্রাহকদের টাকা কতটা নিরাপদ আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সে তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যাংক হিসাবে সই করার ক্ষমতা আকিজ গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাকে দেওয়ার তথ্য-প্রমাণ রয়েছে জাগো নিউজের কাছে। বিমা কোম্পানিটির নামে করা বিল আকিজ গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সইয়ে তৈরি করা সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণও রয়েছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমা কোম্পানিতে জমা করা প্রিমিয়ামের টাকা লেনদেনের একচ্ছত্র অধিকার সংশ্লিষ্ট বিমা প্রতিষ্ঠানের। সেটা যদি অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাতে চলে যায় তাহলে বিমা গ্রাহকদের স্বার্থ ঝুঁকিতে পড়ে। নানান জটিলতা তৈরি হতে পারে পাওনা পরিশোধে। এমনকি সেখানে অর্থ আত্মসাৎ এবং অর্থপাচারের মতো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার শঙ্কাও তৈরি হয়। অনুসন্ধানে জানা যায়, আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও দাবি পরিশোধসহ অন্য লেনদেনের জন্য নয়টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য আলাদা তিনটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে লেনদেনের জন্য কোম্পানিটির শীর্ষ দুই কর্মকর্তাসহ তিন ব্যক্তির সই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বমোট ছয়জন ব্যক্তিকে সই দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে আকিজ তাকাফুল লাইফের অর্থ লেনদেনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত (অথরাইজড) ওই ছয় ব্যক্তির চারজনই আকিজ গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। অর্থাৎ, গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া প্রিমিয়ামের টাকা লেনদেনের পূর্ণ ক্ষমতা নেই আকিজ তাকাফুল লাইফের।

অথচ বিমা গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া এসব টাকার দায় পুরোটাই আকিজ তাকাফুল লাইফের। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে গ্রাহক স্বার্থবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিভিন্ন বোর্ডসভায়। ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর, একই বছরের ২৪ অক্টোবর এবং ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর এসব বোর্ডসভা অনুষ্ঠিত হয়। কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এসকে শামিম উদ্দিন এসব বোর্ডসভায় সভাপতিত্ব করেন। আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্স পিএলসির নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ হেড অফিস কমপ্লেক্স ব্রাঞ্চ, পূবালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল (ইসলামিক) ব্রাঞ্চ, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গুলশান সার্কেল-১ ব্রাঞ্চ, ঢাকা ব্যাংকের কাকরাইল ব্রাঞ্চ এবং ব্র্যাক ব্যাংকে।

এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সিগনেটরদের মধ্যে রয়েছেন- বিমা কোম্পানিটির সিইও (সিসি) মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী এবং ডিএমডি ও সিওও মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান খান। এছাড়াও মোহাম্মদ এমাদুল হক, আহসান বিন আহমেদ, মো. সাইফুল্লাহ সায়েম ও মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সিগনেটর হিসেবে রয়েছেন আকিজ তাকাফুল লাইফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। সিইও (সিসি) মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী এবং ডিএমডি ও সিওও মোহাম্মদ মাসুদুজ্জামান খান ছাড়া অন্য চার সিগনেটরির কেউই আকিজ তাকাফুল লাইফের কর্মকর্তা নন। তারা সবাই আকিজ গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। এছাড়া আকিজ তাকাফুল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রেও অনুমোদন নিতে হয় আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ থেকে। যে কোনো বিল অনুমোদনে বিমা কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সই দেওয়ার পর আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কর্মকর্তা সেটি অনুমোদন দিলেই কেবল বিল পরিশোধ করতে পারে আকিজ তাকাফুল লাইফ।

বিমা গ্রাহকদের সেবার জন্য বিটিআরসি থেকে নেওয়া আকিজ তাকাফুল লাইফের টোল ফ্রি নম্বর ও শর্টকোডের নবায়ন ফি পরিশোধ করতে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের প্যাডে। এমন একটি নথি জাগো নিউজের হাতে এসেছে। এই নথিতে দেখা যায়, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আকিজ তাকাফুল লাইফের নামে চার লাখ ৩৩ হাজার ৯৭৫ টাকার একটি বিল তৈরি করা হয়। বিলটির প্রস্তাব করেন আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার কাজী মাসুদ রানা এবং সমর্থন দেন প্রতিষ্ঠানটির আইটি টিমের প্রধান মো. সাহিদুর রহমান। আর অনুমোদন দেন আকিজ ভেঞ্চার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সৈয়দ আলমগীর।

এদিকে সম্প্রতি আকিজ তাকাফুলের বিরুদ্ধে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আকিজ তাকাফুল লাইফ এখনো ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা’ পলিসিটি চালু করেনি। এর মাধ্যমে কোম্পানিটি আইডিআরএ’র নির্দেশনা লঙ্ঘন করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, কোম্পানিটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড চিফ অপারেটিং অফিসার মাসুদুজ্জামান খান (রিপন) এখনো নিয়োগপত্র ছাড়াই অবৈধভাবে চাকরি করছেন। পাশাপাশি আকিজ গ্রুপের অন্য একটি চাকরিতে কর্মরত। এছাড়া মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে আবেদন করা আলমগীর চৌধুরীর যোগ্যতা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি কোম্পানিটি প্রথম বছরে অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক ব্যবস্থাপনা ব্যয় করেছে এবং বিমা আইন অনুসরণ না করে আকিজ গ্রুপের নিজস্ব আইনে পরিচালিত হচ্ছে।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে আইডিআরএ বিষয়টি তদন্ত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে মো. আব্দুর রহিম এবং মো. শামসুল আলমের সমন্বয়ে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ ২০২১ সালের মে মাসে বীচল্যান্ড ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড নামে একটি জীবন বিমা কোম্পানির অনুমোদন দেয়। পরবর্তীসময়ে কোম্পানিটির নাম বদল করে করা হয় আকিজ তাকাফুল লইফ ইন্স্যুরেন্স। ব্যবসা শুরুর প্রথম বছর বা ২০২১ সালে আকিজ তাকাফুল লাইফ প্রিমিয়াম আয় করে ৫৩ লাখ ২৪ হাজার ৫৭৩ টাকা। এর মধ্যে জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে আয় হয়েছে ৫১ হাজার ৮৫০ টাকা। বাকি ৫২ লাখ ৭২ হাজার ৭২৩ টাকা আয় হয় অক্টোবর-ডিসেম্বর এই তিন মাসে।

এ আয়ের বিপরীতে কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে ব্যয় করে এক কোটি ৩৯ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৮ টাকা। এর মধ্যে জুলাই-সেপ্টেম্বর এই তিন মাসে ব্যয় করে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৪ টাকা। আর অক্টোবর-ডিসেম্বর এই তিন মাসে ব্যয় করে এক কোটি ২৬ লাখ ৮২ হাজার ১৩৪ টাকা।অর্থাৎ আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হয়েছে ২৬২ শতাংশ। অন্যভাবে বলা যায়, কোম্পানিটি একশ টাকা আয় করতে ২৬২ টাকা খরচ করেছে। এমন বেপরোয়া খরচ করলেও বিমা আইন অনুযায়ী, বছরটিতে ব্যবস্থাপনা খাতে কোম্পানিটি সর্বোচ্চ ৩৪ লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ করতে পারে। এ হিসেবে আইন লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠানটি এক কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করে।

এ ব্যয়ের সিংহভাগ হয় পরোক্ষ খাতে। কোম্পানিটি ব্যবস্থাপনা খাতে যে অর্থ খরচ করে তার মধ্যে ১ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার টাকাই পরোক্ষ ব্যয়। এর মধ্যে অফিস ভাড়া ১১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ৪৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, গাড়ির জ্বালানি ও অবচয় দুই হাজার টাকা, মনিহারি ব্যয় এক লাখ ৩০ হাজার এবং অন্য পরোক্ষ ব্যয় ৫৮ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অপরদিকে প্রত্যক্ষ ব্যয় হয়েছে ২৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কমিশন ব্যয় ১২ লাখ টাকা। এছাড়া উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতায় ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং অন্য প্রত্যক্ষ ব্যয় হিসেবে ৬০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। সীমিত আয়ের বিপরীতে মাত্রাতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করার কারণে এই জীবন বিমা কোম্পানিটির জীবন তহবিল (লাইফ ফান্ড) ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। ২০২১ সাল শেষে জীবন তহবিল দাঁড়ায় ঋণাত্মক ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা।

একাধিক বিমা কোম্পানির সিইও বলেন, জীবন বিমা কোম্পানির টাকা গ্রাহকের টাকা। এ টাকা লেনদেনের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানির বাইরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির হাতে দেওয়ার সুযোগ নেই। আকিজ লাইফের বিল যদি সত্যিই অন্য প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ অন্য প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকে, সেটা বড় ধরনের অনিয়ম। এতে কোম্পানিটির গ্রাহকদের টাকা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে। এমনকি এটাকে অর্থপাচারের মতো অপরাধের সঙ্গেও তুলনা করা যেতে পারে। দেশের বিমা কোম্পানিগুলোতে এ ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি।

যোগাযোগ করা হলে আকিজ তাকাফুল লাইফের সিইও (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী  বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বিমা পলিসি চালু না করাসহ আইডিআরএ’র কাছে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সঠিক না। আকিজ লাইফের অর্থ লেনদেনে গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গ্রুপের যে বিষয়টি বলছেন তিনি আসলে আমাদের একজন ডিরেক্টর। আমাদের বোর্ডের রেজ্যুলেশন আছে ফাইন্যান্সিয়াল যে বিষয়গুলো উনি দেখবেন। তাও সবকিছু নয়। কিছু বিষয় আছে যেগুলো ফাইন্যান্সিয়ালি ইনভলভড, এ কারণে ওনার সিগনেচার থাকে। তিনি বলেন, এতে গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই। এটা গ্রাহকের টাকার নিরাপত্তার পেছনে এ কাজ করছে। যাতে কোনো অকারেন্স না ঘটে। বিষয়টা তো এমন না উনি টাকা নেওয়ার জন্য এখানে ইনভলভ। এতে বরং গ্রাহকের আমানতের নিশ্চয়তা বাড়ছে।

প্রথম বছরে ব্যবস্থাপনা খাতে মাত্রাতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম বছর ২০২১ সালে আমরা ব্যবসা করেছি এক মাস। কিন্তু খরচ ছিল পুরো বছরের। ২০২১ এর ওটা দিয়ে আমার ২০২৩ তুলনা করলে হবে না। এবছর আমাদের ব্যয় সীমার নিচে থাকবে। আইডিআরএ’র মুখপাত্র মো. জাহাঙ্গীর আলম  বলেন, আকিজ তাকাফুল লাইফের বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দিলে তারপর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।