১২০ ঘণ্টা কাজ, শোরগোল ফেলে দিয়েছে মাস্কের নেতৃত্বাধীন ‘ডজ’

১২০ ঘণ্টা কাজ, শোরগোল ফেলে দিয়েছে মাস্কের নেতৃত্বাধীন ‘ডজ’

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সপ্তাহে ১২০ ঘণ্টা। এবার কাজের সময়ের নতুন লক্ষ্য ঠিক করলেন ডনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী বিলিওনেয়ার ইলন মাস্ক। ডনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই টেসলা করতে ইলন মাস্কের নেতৃত্বে সরকারের নতুন বিভাগের কাজ শুরু হয়েছে। সেই বিভাগের নাম ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি বা ডজ। এই বিভাগে কাজের জন্য যখন লোক নেওয়া হচ্ছিল তখনই মাস্ক জানিয়েছিলেন, কাজ করতে গেলে সপ্তাহে কমপক্ষে ৮০ ঘণ্টার ওপর কাজ করতে হবে, আর মিলবে না কোনও বেতনও! কিন্তু এখন তিনি স্পষ্ট করলেন, ৮০ বা ১০০ নয়, এই বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন সপ্তাহে ১২০ ঘণ্টা।

মার্কিন প্রশাসনের কর্মীদের ব্যঙ্গ করার চেষ্টায় মাস্ক এক্সে বলেছেন, ‘ওরা সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করে। আমরা ১২০ ঘণ্টা। ওরা দু’দিন ছুটি কাটায়। আমরা সপ্তাহের শেষেও কাজ করি।’ পোস্টটি দেখার পর একজন মাস্ককে ‘ভয়ানক বস’ বলে অভিহিত করেছেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই বিশেষ টাস্কফোর্স ‘ডজ’ ফেডারেল কর্মীদের ছাঁটাই, বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচি সংকোচন এবং ফেডারেল নিয়মকানুন শিথিলের মাধ্যমে সরকারি খরচ কমানোর লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে। তবে তরুণ ইঞ্জিনিয়ারদের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে উঠেছে প্রশ্ন। কিন্তু তার থেকেও বড় বিতর্ক সৃষ্টি করল সপ্তাহে ১২০ ঘণ্টা কাজ করার বিষয়টি। কেউ কেউ বলছেন যে, সর্বদা কাজের সাফল্য কাজের ঘণ্টার ওপর নির্ভর করে না। এটি সেই ঘণ্টার গুণমান, সিদ্ধান্তের প্রভাব এবং কৌশলগত চিন্তাভাবনার ওপর নির্ভর করে।

কেউ কেউ আবার নেপোলিয়নের সঙ্গে মাস্কের তুলনা টেনে বলেছেন যে, তিনি অসাধারণ প্রতিভা, বুদ্ধি, শক্তির অধিকারী। ট্রাম্প কর্তৃক গঠিত ডজ বিভাগটির লক্ষ্য সরকারের অদক্ষতা এবং দুর্নীতির মূলোৎপাটন করা। সূত্র: এনডিটিভি