সরকারের পদত্যাগ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: একদফা দাবি আদায়ে ও সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এবং,বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল বিএনপি।
আজ বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকানোর জন্য গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আদালত, প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য। জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সরকার তাদের শেষ অস্ত্র হিসেবে আদালতকে ব্যবহার করছে এক অমানবিক দমনের যন্ত্র হিসেবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ বিএনপি মহাসচিব ও জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা এখন আজ্ঞাবহ আদালতের কোপানলে সাজা ও বন্দীর শিকার হচ্ছেন। এর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে—স্বৈরশাহীর বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকার জন্য চূড়ান্ত মরণকামড়। শেখ হাসিনার ইনক্লুসিভ নির্বাচন ও সুষ্ঠু ভোটের প্রতি এক ধরণের ক্রোধ থেকে প্রতিনিয়ত জন্ম নিচ্ছে হিং¯্র প্রতিশোধ। যারাই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দাবি করছেন তারাই শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। শেখ হাসিনা এখন প্রতিহিংসা পূরণ করছেন আদালতকে দিয়ে। এ দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির মূল প্রতিপাদ্য ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা শুনলেই অস্থির হয়ে পড়ে। তাই স্বৈরাচারের উগ্রমূর্তির প্রতিফলনে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতবিক্ষত। আইন, বিচার, আদালত, প্রশাসন, পুলিশ সবকিছুই একাকার হয়ে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোর ওপর সর্বগ্রাসী আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার হিংসার পথে গণতন্ত্রের পক্ষের মজলুম নেতাদের নতজানু করতে না পেরে এখন আদালতকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সাজা দেয়ার হিড়িক শুরু করেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই এ জাতির দুর্দিনের প্রতীক। তিনি সারাজাতির ওপর দুঃসময় নামিয়ে এনেছেন। প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকার সদিচ্ছাপ্রসূত কোন কাজই করেননি। অশান্তি, হিংসা, সংঘাত ও হানাহানির এক বাতাবরণ তৈরী করে জনগণকে দুরে ঠেলে অবৈধ ক্ষমতাকে নিরাপদ করার চেষ্টায় রত আছেন। বর্তমান আওয়ামী সরকার ফ্যাসিবাদের বাংলাদেশী সংস্করণ। দেশ এখন চরম সংকটে। দেশ এখন ডেঙ্গু জ¦রে কাঁপছে। ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশে ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদই এখন প্রধান সংবাদ। এরই মধ্যে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ভর্তি ও সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রতিদিন গড়ে ২০ জনের অধিক লোক ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে শুধু ডেঙ্গুতে ৭০০ এর অধিক লোক মারা গেছে। অবৈধ সরকারের উদাসীনতার কারণেই লাশের সারি ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হচ্ছে। কিন্তু সরকার সম্পূর্ণরুপে নিস্পৃহ ও নির্বিকার। অথচ এই রোগ শত ভাগ প্রতিরোধযোগ্য। শুধুমাত্র সরকারের দুর্নীতি ও অবহেলার কারণে এই রোগ এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভারতে চাঁদে যেতে খরচ হয় ৬৫১ কোটি টাকা, অথচ বাংলাদেশে মশা নিধনের বাজেট প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। শেখ হাসিনার লোকজন আরব্য রজনীর গল্পকথাকেও হার মানিয়েছে। ইতোমধ্যে খরচ হওয়া টাকা ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই লুটে নিয়েছে। শেখ হাসিনার হাতের মুঠোয় ধ্বংসের শক্তি। তিনি দেশের জনগণকে দমন করার জন্য এহেন ধ্বংসাত্মক কাজ নেই যা তিনি করছেন না। এই গভীর সংকটকালে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি পারিষদসহ যান সিনেমা হলে আর প্রধানমন্ত্রী বিমানে বিশাল বহর নিয়ে পিকনিক করতে যান বিদেশে। অথচ গণতন্ত্রকামী মানুষের বিপক্ষে হিংসার প্রয়োগ করতে দ্বিধা করেন না।
সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কতৃর্ক হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের বিবরণ
গ্রেফতার ঃ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বাংশাল থানাধীন ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহম্মেদ নাজিমকে গতরাত আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় নর্থ সাউথ রোড থেকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর মুগদা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাহপুর উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনোয়ার হোসেন রাখু, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইবনে সিন, পলাশবাড়ি উপজেলা যুবদল নেতা সবুজ ও বিএনপি কমীর্ মোজাকে গতকাল গভীর রাতে তাদের বাসা থেকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সভাপতি রাগিব হাসান চৌধুরী, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমতিয়াজ আহমেদ রনি ও জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান রানাকে তাদের নিজ বাড়িতে থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গাইবান্ধা জেলায় বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীর্দের বাড়িতে বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করছে।
গত ১ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শেষ করে ফেরার পথে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মহিবুল হক টুটুল, উত্তর জেলা বিএনপি’র সদস্য হানিফ শাকের উল্লাহ, সদস্য এস এম দুলাল, গৌরীপুর উপজেলার সাবেক সদস্য মনির হোসেন মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য বিপ্লব হোসেন রবি, গৌরীপুর উপজেলা যুবদল নেতা হান্নান তালুকদার, সোহেল মিয়া, আশিকুর রহমান নয়ন, তারাকান্দা উপজেলা যুবদল নেতা মোজাম্মেল হক সরকার, জেলা যুবদলের সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির, সদস্য আলী আক্তার পল্লব, তৌফিকুল ইসলাম তারেক, ফুলপুর উপজেলা যুবদল নেতা কাজিম উদ্দীন, ইশ^রগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল আলম রাতুল, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ মেম্বার, ইশ^রগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল খালেক, পৌর কৃষকদল সভাপতি মকবুল হোসেন, বিএনপি নেতা বাদশা মিয়া, রিপন মিয়া, মৎস্যজীবী দল নেতা কিশোর মিয়া, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ, ইশ^রগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মোখলেস মিয়া, নান্দাইল উপজেলা বিএনপি নেতা মাসুদ উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, যুবদল নেতা জসিম মিয়া, বাবু মিয়া, জামাল মিয়া, হারুন অর রশিদ, রুবেল মিয়া, রুহুল আমিন, রসুল মিয়া, আকরাম হোসেন ও সিরাজ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গত ২ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার পাগলা থানার উন্সি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুবক্কর, রিপন ও পাইথল ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ রমজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গত ২ সেপ্টেম্বর গফরগাঁও উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও পাগলা থানা বিএনপি’র সদস্য মাহবুবুর রহমান ফোরকানকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গেন্ডারিয়া থানা বিএনপি নেতা মোঃ আসাদ, মোঃ মাসুদ ও শাহজাহানপুর থানাধীন ১১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মজিবর মুন্সিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হামলা ও আহত ঃ
২ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ—সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন দুলাল এর সোনাগাজী উপজেলার চরমজলীশপুর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ীতে হামলা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এ সময় ঘর থেকে বেরিয়ে দুলাল প্রাণে বেঁচে যায়। দাগনভূইয়া উপজেলার মাতুভূইয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ সভাপতি মামুন এর নির্দেশে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক রবিন এর নেতৃত্বে শতাধিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা দুলালকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাড়ী ঘেরাও করে, তাকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে চরম দূর ব্যবহার করে এবং “দুলালকে যেখানে পাবে হত্যা করে হবে’ বলে হুমকি—ধামকি দেয় এবং ঘরের চারপাশে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে দলীয় শ্লোগান দিয়ে চলে যায়। বর্তমানে দুলাল ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা উক্ত হামলা শেষ করে যাওয়ার পথে মোমারিজপুর গ্রামে রাত আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় ভোকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও দাগনভূইয়া উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য নুরুল আফছার সজিবের গ্রামের বাড়িতে হামলা করে পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়ভীতি প্রদর্শণসহ ঘরের বাইরে ভাংচুর এবং সজিবকে হত্যার হুমকি দেয়। সজিব ও তার পরিবারের সদস্যরা বর্তমানে আতঙ্কের মাঝে দিন কাটাচ্ছে।
২০১৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ৬৯ গ্রুপে’র আজম নাসিরের অনুসারী শ্রাবন মিজান ও মোফাজ্জল হোসেনকে রামদা শান দিতে দেখা যায়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে রামদা শান দেওয়া সেই শ্রাবন মিজান ও মোফাজ্জল হোসেন বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ—সভাপতি।
মামলা ঃ
গত ১ সেপ্টেম্বর জামালপুর জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিমসহ ৪০জন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকমীর্দের আসামী করে সদর থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সৌমিক হাসান সোহাত ও জেলা শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহানসহ বেশ কয়েকজন বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকমীর্দের আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী—
মোট আহত ঃ ১৩৫০ জন
মোট মামলা ঃ ৩৩৩ টি
মোট গ্রেফতার ঃ ১৭২০ জন
মোট আসামী ঃ ১৪,১৩০ জন
কর্মসূচি
বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমান ফ্যাসিবাদী, কতৃর্ত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও বিদ্যমান অবৈধ সংসদের বিলুপ্তি, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুণঃগঠন করে তার অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা; বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্য—গায়েবী মামলা প্রত্যাহার, ফরমায়েশী সাজা বাতিল এবং সংবিধান ও রাষ্ট্রব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কারের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে রাজপথে সক্রিয় বিরোধী রাজনৈতিক জোট দল সমূহ যুগপৎ ধারায় ঐক্যবদ্ধ বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে তোলা ও সফল করার লক্ষ্যে আগামী ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র উদ্যোগে রাজধানীতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।