সঙ্গীতশিল্পী কেকে প্রয়াত
চিকিৎসকদের প্রথমিক অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। গরমই কি হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ?
প্রথম নিউজ, ডেস্ক: মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নজরুল মঞ্চে বলিউডের প্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কেকের গান শুনতে ভিড় করেছিলেন প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার শ্রোতা। গান গাইতে শুরু করলেন কেকে। তবে অনুষ্ঠানের মাঝেই অসুস্থ বোধ করায় ১০ মিনিটের বিরতি নেন তিনি। পেশার প্রতি তাঁর নিষ্ঠা এতটাই যে, অসুস্থতা সত্ত্বেও ফের মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন। চিকিৎসকদের প্রথমিক অনুমান, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসা বাকি।
অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন এমন অনেকেই বলছেন, মঞ্চে দরদর করে ঘামছিলেন শিল্পী। অনেকেই অভিযোগ করছেন, নজরুল মঞ্চের এসি নাকি ঠিকঠাক কাজ করছিল না। অনেকেই দাবি করেছেন, নজরুল মঞ্চের যা আসন সংখ্যা তাঁর চেয়ে অনেক বেশি লোক সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন। তবে কি অত্যধিক গরম ও দমবন্ধ করা পরিস্থিতির কারণেই কেকে-র এই পরিণতি? কেকে-র মৃত্যুর পর উঠছে নানা প্রশ্ন।
প্যাচপেচে গরমে যখন তখন সানস্ট্রোকের ভয়। তবে হার্ট অ্যাটাক নিয়ে চিন্তা নেই— এমনটা যাঁরা ভাবেন, তাঁরা আদতে ভুল ভাবেন, এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। বরং এই সময়েই আপনার অজান্তে বাড়তে পারে হৃদ্রোগের আশঙ্কা। বিপদ এসে পড়তে পারে যখন তখন।
চিকিৎসকদের মতে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কোনও আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে। গরম কালেও এই রোগ হানা দিতে পারে। হৃদ্স্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়ে। সব হার্ট অ্যাটাক কিন্তু কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে পর্যবসিত হয় না। কোনও রোগীর ধমনী ব্লক হয়ে গেলে রক্তের সঙ্গ অক্সিজেন হৃৎপিণ্ডে পৌঁছনো বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃৎপিণ্ডের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমকালে এই ধরনের হৃদ্রোগ হতে পারে রাতের দিকে, আচমকা। বিপদ এড়াতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
কোনও কোনও ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকে বুকে ব্যথা বোঝা যায় না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রথমেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা। দুশ্চিন্তায় লাগাম টানতে না জানলে বিপদের সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। গরমের রাতে যত সম্ভব হালকা খাবার খেতে বলছেন চিকিৎসকরা। বদহজমের সমস্যা থেকেও কিন্তু এই সময়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
তা ছাড়া চিকিৎসকদের মতে মূলত তিনটি কারণে যখন তখন হৃদ্রোগ হতে পারে। যেমন, কোলেস্টরেল বেড়ে গেলে, ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে গেলে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে।
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews