শেখ হাসিনা কত টাকার বালিশে ঘুমান, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

যারা শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে, তারা আল্লাহর কথা বিশ্বাস করে না। বস্তুত যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই।

শেখ হাসিনা কত টাকার বালিশে ঘুমান, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

প্রথম নিউজ, ঢাকা: শেখ হাসিনার কথা যারা বিশ্বাস করে, তারা আল্লাহর কথা বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে ডাক্তার জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে গয়েশ্বর বলেন, মানুষ টেলিভিশনের পর্দায় দেখে একটা আর তারা বলে আরেকটা।

তিনি কিছু সাংবাদিকদের নিয়ে বলেছিলেন, তিনি নাকি রাজনীতি, ক্ষমতা এসব আর চান না। কিন্তু জনগণ তাকে চায়। ২০১৮ সালে অনেক নেতারাই তাকে বিশ্বাস করেছিলো বলে নির্বাচনে গিয়েছিলো। আমার কথা হলো, যারা শেখ হাসিনার কথা বিশ্বাস করে, তারা আল্লাহর কথা বিশ্বাস করে না। বস্তুত যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তারা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নাই। শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, দুর্নীতির পরিমাণ কেমন হলে একটা বালিশের দাম ৭ হাজার টাকা হয়। আমার প্রশ্ন, শেখ হাসিনা কত টাকার বালিশে ঘুমান। আপনার চাইতে তো কেউ দামি বালিশে ঘুমানোর কথা না। তাহলে আপনি কতো দামের বালিশে ঘুমান? সন্তান মারা গেছে, বাবা বলছেন কার কাছে বিচার চাইবো। কতোটা বিচারহীনতা ও আস্থাহীনতা তৈরি হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় যোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একজন অবিশ্বাসী লোককে কেন আমরা বিশ্বাস করলাম। কেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত না করে নির্বাচনে গেলাম। ৭ দফা জাহান্নামে যাক। আমাদের একটাই দফা, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। আমরা কেন সেটা বাস্তবায়ন না করে সংসদে গেলাম? তিনি আরও বলেন, জুবাইদা রহমান এখন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় দেখাশোনা করছেন। তিনি চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করছেন। হার্টের রোগ কীভাবে হবে না, যেসব কাজ করলে হার্টের রোগ হবে না এটা নিয়ে জোবাইদা গবেষণা করছেন। তিনি একান্তই রাজনীতির বাইরে। তার এখন রাজনীতি নিয়ে কোনো মাথা ব্যথা নাই। তার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছাও নাই। তাদের জন্মসূত্রেই পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে। তারা স্বাধীনতার আগ থেকেই সম্পদশালী ও ক্ষমতাবান। ১৯৫৫ সালের পরে তারা ঢাকা বা সিলেটে কোনো জমি কিনেছেন এমন রেকর্ড নাই। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দেওয়া শুধুমাত্র হয়রানির জন্য। আর কিছু নয়।

শেখ হাসিনার কাছে মামলা দিতে কোনো কারণ লাগে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, কথায় আছে আকাশের যতো তারা, পুলিশের কাছে তার অনেক বেশি ধারা। তারা নাকি বাতাসের গলায়ো রশি বাঁধতে পারে।তাই তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা কর্মীদের হয়রানি করছে। জুবাইদা রহমানের নামে মামলা তাকে হয়রানি করার জন্য তা ছারা অন্য কিছুই নয়। শেখ হাাসনার কাছে মামলা দিতে তো কোন কারণ লাগে না এমনি দিয়ে দেয়।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সহ সভাপতিত্বে কৃষিবিদ শাহাদাৎ হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, অ্যাডভোকেট ওহিদুজ্জামান বিপু  প্রমুখ।