শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসা ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ
রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ভুয়াছড়ি বায়তুল আমান মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভুয়াছড়ি এলাকার বায়তুল আমান ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার হেফজ বিভাগের আব্দুর রহমান আবির (৭) নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। রোববার (২৭ আগস্ট) বিকেলে ভুয়াছড়ি বায়তুল আমান মাদরাসায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান আবির (৭) পানছড়ি উপজেলার পূজগাং আইয়ুব আলী মেম্বার পাড়ার সারোয়ারের ছেলে। অভিযুক্ত শিক্ষক হেফজ বিভাগের হাফেজ আমিন ইসলাম মানিকছড়ি উপজেলার গচ্ছাবিল এলাকার দেলোয়ার পিছি'র ছেলে।
জানা গেছে, তাকে শারীরিক নির্যাতন করে পুরো শরীরে আঘাত করে ওই শিক্ষক। পরে সে বমি করলে তাকে হাসাপাতালে নিয়ে আসে শিক্ষক। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃত আবিরের খালা আছিয়া খাতুন বলেন, অভিযুক্ত হুজুর মোবাইলে ফোন করে জানায় আবির বমি করতেছে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে আপনারা আসেন। কিন্তু হাসপাতালে আসার পর আমি দেখলাম ছেলের মরদেহ পড়ে আছে। তার পাশে কেউ নেই। হুজুর তাকে রেখে পালিয়ে গেছে।
আবিরের চাচা দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলেকে ভুয়াছড়ি মাদরাসায় ভর্তি করেছে কিছুদিন আগে। সে নাকি দুষ্টামি করছিলো পড়তে বলছে সে পড়তে বসেনাই। সেখান থেকে তাকে ধরে এনে অত্যাচার করে মেরে পেলছে। তার শরীরে শুধু আগাতের চিহ্ন। আমরা এই শিক্ষকের বিচার চাই।
মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ফরিদুর রহমান জানান, আমাকে অভিযুক্ত শিক্ষক মোবাইল ফোন করে বলেছে আবির বমি করছে , সে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে। পরে আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি ওই শিক্ষক ছেলেটিকে রেখে চলে গেছে। আমরা ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার চাই।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন চক্রবর্তী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এই বিষয়টি জানার পর আমরা হাসপাতালে এসে আমাদের বিধি মোতাবেক মৃত শিশুটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছি। ছেলেটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।