লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল বাসিন্দাদের ঘরে না ফেরার অনুরোধ, রাত্রিকালীন কারফিউ
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের নিয়ন্ত্রণে পানির সমস্যার বিষয়টির স্বাধীন তদন্ত চেয়েছেন সেখানকার গভর্নর। এদিকে দাবানল আক্রান্ত প্যাসিফিক প্যালিসেইড ও ইটন এলাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ দেওয়া হয়েছে। আগুনের কারণে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
লস অ্যাঞ্জেলেসে পুলিশ প্রধান ম্যাকডনেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শুধু অগ্নিনির্বাপণ ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকেই অনুমতি দেওয়া হবে।
এছাড়া যেসব অধিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছেড়ে গেছেন বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে এখনই তাদের না ফেরার অনুরোধ করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ ওইসব এলাকা থেকে কিছু ব্যক্তিকে আটক করলেও লুটপাটের জন্য কাউকে আটক করা হয়নি।
ওদিকে বাতাস আরও তীব্র হওয়ার পূর্বাভাস থাকায় আগুন আবারও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
লস অ্যাঞ্জেলস সিটি মেয়র কারেস ব্যস শহরের অধিবাসীদের তার কর্মকর্তাদের ওপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা যতটা সম্ভব পরিদর্শন করবেন ও অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবানলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্যালিফোর্নিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি দাবানলের ঘটনা রাজনীতিকরণ না করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
নিউসন বলেন, আমাদের অবশ্যই কোনো মানবিক বিপর্যয়কে রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়। কিংবা ভুল তথ্য ছড়ানোও উচিত না।
তিনি বলেন, হাজার হাজার আমেরিকান তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ও তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। পরিস্থিতির দ্রুত উত্তরণ ও পুনর্গঠনে আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টাই তারা ডিজার্ভ করে।
এর মধ্যে মাত্র তিনটি ঘটনায় মরদেহের অংশবিশেষ পাওয়া গেছে। তবে তাদের কোনো পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
আলটাডেনা ও পাসাডেনা এলাকার অধিবাসীদের ঘরবাড়িতে এখনি না ফেরার বিষয়ে সতর্ক করেছেন সেখানকার সিনেটর সাশা রিনি পেরেজ। তিনি জানান, সেখানকার অধিবাসীরা এবারের মাত্রায় দাবানল আগে কখনো দেখেনি।
লস অ্যাঞ্জেলেস ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একজন ক্যাপ্টেন অ্যাডাম ভ্যান গার্পেন বলেছেন, দমকল বাহিনীর কিছু কর্মীর কাছে পর্যাপ্ত পানি নেই।
আমি এটা দেখেছি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা যা করি তা হলো অন্য জায়গা থেকে পানি এনে ট্যাংকে রাখি। তবে অবশ্যই এটা অগ্নিপ্রতিরোধ কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করে।
তিনি বলেন, দমকল কর্মী হিসেবে তারা আশা করেন যে ফায়ার হাইড্রেন্টসগুলো ঠিক মতো কাজ করবে এবং তাতে পানির যথাযথ চাপ থাকবে।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান পাসাডেনা এলাকায় একটি রিলিফ সেন্টার পরিদর্শন করেছেন।স্থানীয় মিডিয়ায় প্রচার হওয়া ফুটেজে দেখা যাচ্ছে হ্যারি ও মেগান মেয়র ভিক্টর গর্ডনের সাথে কথা বলছেন। তারা যেখানে কথা বলেছেন সেখানে বিতরণ করার জন্য খাবার তৈরি হচ্ছিলো।