রিয়ালকে উড়িয়ে দিল ‘পূর্ণশক্তির’ বার্সা
প্রথম নিউজ, স্পোর্টস ডেস্ক: প্রাক-মৌসুম প্রীতি ম্যাচ হলেও বছরের প্রথম ‘এল ক্লাসিকো’ নিয়ে স্বভাবতই কিছুটা উত্তেজনা তো থাকে-ই। তেমনই এক ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পূর্ণশক্তির দল নিয়ে নেমেছিল বার্সেলোনা। অবশ্য আর্সেনালের কাছে আগের ম্যাচ হারায় কাতালান ক্লাবটি মর্যাদার এই লড়াইকে হয়তো বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। অন্যদিকে তরুণদের সমন্বয়ে গড়া একাদশ নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। দিনশেষে বার্সার কাছে তার শিষ্যরা ৩-০ ব্যবধানে উড়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে হওয়া আগের দুই প্রীতি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল রিয়াল। তারা হারিয়েছিল এসি মিলান ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো ক্লাবকে। তাই হয়তো লস ব্লাঙ্কোসরা কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। তাদের সেই জয়ের ধারা এসে বার্সার সামনে থেমেছে। শনিবার (২৯ জুলাই) রাতে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের ব্যবধান কিছুটা কম হতে পারত। কিন্তু এদিন রিয়ালের হয়ে পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
ম্যাচের ১৫ মিনিটেই প্রথম লিড পায় বার্সেলোনা। পেদ্রি ফ্রি-কিক থেকে ওসমান ডেম্বেলের উদ্দেশে নিখুঁত পাস বাড়ান। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের দেওয়া পাস থেকে দুরূহ কোণ থেকে গোল করেন ডেম্বেলে। এর মিনিট পাঁচেক পরেই গোল শোধ করার সুযোগ পায় রিয়ালও। ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রিয়াল। কিন্তু দলটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস স্পট-কিকে ব্যর্থ হয়েছেন।
এদিন দীর্ঘদিন পর করিম বেনজেমাকে ছাড়া কোনো এল ক্লাসিকো দেখলেন দর্শকরা। শুরুর একাদশে ছিলেন না লুকা মদ্রিচ ও টনি ক্রুসরা। তবে তারা দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। শেষদিকে গোল শোধ করার চেষ্টায় থাকলেও জালের দেখা পায়নি বার্নাব্যুর ক্লাবটি। উল্টো দ্বিতীয়ার্ধে তারা আরও দুটি গোল হজম করে। এছাড়াও পুরো ম্যাচে গোলবারে লেগে ফিরেছে রিয়ালের একাধিক শট।
বার্সার হয়ে ২০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ফেরমিন লোপেজ লিড দ্বিগুণ করেন। অবশ্য এতে রিয়ালের রক্ষণেরও দায় আছে। ৮৫ মিনিটে সেই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে জোরালো শটে লোপেজ বল জালে জড়ান। পরবর্তীতে ম্যাচের যোগ করা সময়ে আরও একবার রিয়ালের সঙ্গে হতাশায় পুড়েছেন থিবো কোর্তোয়া। ফেরান তোরেস ব্যবধান বাড়িয়ে সেটিকে তিনে পরিণত করেন। ওই গোলে রিয়ালের রক্ষণ ও গোলরক্ষককে দারুণভাবে বোকা বানান তিনি। আগের ম্যাচে আর্সেনালের কাছে হার বার্সাকে হয়তো তাতিয়ে দিয়েছিল। যদিও কোচ জাভি হার্নান্দেজ পরাজয়ের ম্যাচেও ছিলেন ইতিবাচক। যার তিক্ত ফল পেয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা!