রাশিয়ায় পা রেখেই গ্রেফতার হলেন নাভালনি
গেল গ্রীষ্মে বিষপ্রয়োগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে রোববার প্রথম দেশে ফেরেন তিনি।
প্রথম নিউজ, অনলােইন ডেস্ক: মস্কোতে পা রাখার পরেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমালোচক অ্যালেক্সেই নাভালনিকে গ্রেফতার করেছে রাশিয়ার পুলিশ। গেল গ্রীষ্মে বিষপ্রয়োগে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর জার্মানিতে চিকিৎসা শেষে রোববার প্রথম দেশে ফেরেন তিনি। স্থগিত কারাদণ্ডের শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে নাভালনির। এ ঘটনায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর চাপ বাড়তে পারে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
জার্মানিতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে গত সপ্তাহে দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন নাভালনি। তখন মস্কো প্রিজন সার্ভিস জানায়, দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেফতারে সবকিছু করা হবে। তার বিরুদ্ধে স্থগিত কারাদণ্ড লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৪ সালে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল। যদিও তার বিরুদ্ধে তোলা এ অভিযোগ সাজানো বলে তিনি দাবি করেন। দেশে ফেরার পথে বিমানে ৪৪ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদকে হাসি-তামাশা করতে দেখা গেছে। তিনি ভীত নন বলেও জানিয়েছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ায় প্রবেশের আগেই মস্কোর শেরেমেটাভো বিমানবন্দরের পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কক্ষে মাস্ক পরা চার পুলিশ কর্মকর্তা নাভালনিকে তাদের সঙ্গে যেতে বলেন। কিন্তু কেন যেতে হবে; সেই ব্যাখ্যা তারা দেননি। পুতিনবিরোধী এই নেতা আটক হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বিমানবন্দরে উপস্থিত তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, আমি জানি, আমি সঠিক পথে আছি। আমি কিছুতেই ভয় করি না।
গত বছর অগাস্টে একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে সার্বিয়া থেকে মস্কো ফেরার সময় এককাপ চা পানের পরই অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গিয়েছিলেন ৪৪ বছর বয়সী নাভলনি। বিমানবন্দর থেকে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
অবস্থার পরিবর্তন না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জার্মানি নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই পরীক্ষায় জানায় যায়, সোভিয়েত আমলে তৈরি বিষাক্ত নার্ভ এজন্টে নোভিচক দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। নাভালনি ও তার সমর্থকদের অভিযোগ, রুশ সরকার বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তাকে রাসায়নিক বিষ প্রয়োগে মারার চেষ্টা করা হয়।