রোডমার্চে অংশ নেয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে হামলা, সহোদর প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম
গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শামসু মাস্টারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথম নিউজ, চট্টগ্রাম: গত ৫ই অক্টোবর বিএনপি’র কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত লংমার্চে অংশগ্রহণ করার জেরে ফটিকছড়িতে এক সেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এ সময় মনিরুল ইসলাম নামে এই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে বাঁচাতে আসলে তার দুই প্রবাসী ভাইকেও কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের শামসু মাস্টারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ফটিকছড়ি পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম, তার ৩ প্রবাসী ভাই মফিজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মাসুদুল ইসলাম। এরমধ্যে মফিজুল ও শহিদুলকে কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইরফান ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুল ইসলামের পরিবারের সম্পত্তি নিয়েও বিরোধ ছিল। এরমধ্যে মনিরুল ইসলাম বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িত থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষ সরকার দলীয় লোকদের মাধ্যমে তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতো। সর্বশেষ গত ৫ই অক্টোবর বিএনপি’র রোডমার্চে লোকজন নিয়ে যাওয়ার জেরে তাকে হুমকি দেয়া হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকালে যুবলীগ নেতা ইরফানের সঙ্গে মনিরুলের কথা-কাটাকাটি হয়। আর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইরফান ও গিয়াস উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্ব তাজউদ্দীন জুয়েল, তুষার, মিজানুর রহমান, জসিম উদ্দিনসহ ১০-১২ জন ব্যক্তি মনিরুলের বাড়িতে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।
সন্ত্রাসীরা মনিরুল ইসলামকে ঘর থেকে বের করে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে বাঁচাতে আসলে তার প্রবাসী ভাই মফিজুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মাসুদুলের উপরও হামলা করা হয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মফিজুল ও শহিদুলের মাথা ফেটে যায়। আর তাদেরকে বাঁচাতে আসলে ক্যান্সার আক্রান্ত বোন মনোয়ারা বেগমকেও বেধড়ক পিটুনি দেয়া হয়। মারাত্মকভাবে আহত শহিদুল ইসলাম ও মফিজুল ইসলাম ওমান প্রবাসী। তারা ছুটিতে দেশে বেড়াতে এসেছিল। এরমধ্যে শহিদুলের ঘটনার দিন (বৃহস্পতিবার) রাতের ফ্লাইটে কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল।
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আওয়ামী লীগ পরিচয়ধারী স্থানীয় কিছু ব্যক্তি আমার পাশাপাশি আমার পরিবারকেও বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিতো। এরমধ্যে তারা বৃহস্পতিবার বিকালে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার দুই ভাইকে তারা কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে। এ সময় তারা আমার ক্যান্সার আক্রান্ত বোনকেও রেহাই দেয়নি। আর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল হুদা মানবজমিনকে বলেন, ‘এরকম একটা ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিমদের পরিবারের সদস্যরা থানায় এসেছিল। আমরা মামলা নিবো এবং তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।’