‘যৌথ ঘোষণায়’ আন্দোলন নতুন স্তরে উন্নীত হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতারা এ মূল্যায়ন করেন। 

‘যৌথ ঘোষণায়’ আন্দোলন নতুন স্তরে উন্নীত হয়েছে: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: যুগপৎ আন্দোলনের ‘যৌথ ঘোষণায়’ আন্দোলন নতুন স্তরে উন্নীত হয়েছে বলে মনে করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতারা। মঞ্চের নেতারা বলছেন, সরকারি দলের কূটকৌশল ও উসকানি মোকাবিলা করে বিজয় না পাওয়া পর্যন্ত গণ-আন্দোলন এগিয়ে নিতে হবে। পাশাপাশি আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগরসহ জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা সফল করতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় নেতারা এ মূল্যায়ন করেন।  সভায় গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, যুগপৎ আন্দোলনের ১ দফা ও রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা বাংলাদেশের রাষ্ট্র-রাজনীতিতে নতুন গুণগত উপাদান যুক্ত করেছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের সভায় দেওয়া প্রস্তাবে ঢাকাসহ সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে বলা হয়, সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের সীমাহীন অব্যবস্থাপনা ও ব্যর্থতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, অকার্যকর ও প্রচারসর্বস্ব পদক্ষেপে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। তাই ডেঙ্গু মোকাবিলা ও এর বিস্তৃতি রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু ও গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূইয়া।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জিন্নুর রহমান দিপু, সাকিব আনোয়ার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন, হাসিব উদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা জুলহাসনাইন বাবু ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহার।