মোটরসাইকেল চালানো শিখতে গিয়ে নিহত ২, আহত ১
নিহতরা হলেন, মোটরসাইকেল চালক জিসান রাজা (১৭) ও তার প্রতিবেশী আপন মালত (১৬)। গুরুতর আহত রুবেল মালতকে (১৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রথম নিউজ, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেশনাল এলাকায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার হতে পুরা বাজারের দিকে যাওয়ার পথে শুক্রবার (৩০ জুন) রাত ১০টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলসহ পুকুরে পড়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মোটরসাইকেল চালক জিসান রাজা (১৭) ও তার প্রতিবেশী আপন মালত (১৬)। গুরুতর আহত রুবেল মালতকে (১৬) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই উপজেলার মূলচর গ্রামের বাসিন্দা এবং প্রতিবেশী বলে জানা গেছে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, নিহত জিসান রাজা দিঘীরপাড় বাজারের একটি ভাঙ্গারি দোকানে কাজ করে। কিছুদিন আগে সে একটি মোটরসাইকেল ক্রয় করে। জিসান তার বন্ধুদের মোটরসাইকেল চালানো শেখাতে শুক্রবার রাতে তার দুই প্রতিবেশীকে মোটরসাইকেলে তুলে দিঘীরপাড় বাজার থেকে উত্তর দিকে পুরাবাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি রাত ১০টার দিকে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বেশনাল হানিফ মাদবরের পুকুরে পড়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা আহত ৩ মোটরসাইকেল আরোহীকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিসান রাজা ও তার পেছনে বসা আপন মালতকে মৃত ঘোষণা করেন। মোটরসাইকেলের একদম পেছনে বসা রুবেল মালতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দিঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. শাহ আলম শনিবার সকাল ৮টার দিকে বলেন, দিঘিরপাড় বাজার হতে পুরা বাজার এলাকার দিকে যাওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে বেশনাল এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে পাশের পুকুরে পড়ে যায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী। পড়ে তাদের মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে ওখান থেকে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে নিহতের অভিভাবকরা জানায় তাদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। এজন্য মরদেহ স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিসান কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল কিনেছিল। মানুষের মুখে শুনেছি জিসান গত কয়েকদিন যাবত বাকি দুজনকে মোটরসাইকেল চালানো শিখাচ্ছিল। তারা রাত ৯টার দিকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাইক নিয়ে বের হয়েছিল। মোটরসাইকেলটি অনেক বেশি গতিতে চলছিল। বাইক ও হতাহতের দেখেই তা স্পষ্ট বোঝা যায়।