বাধা সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী সৈয়দ নাভিদ কামার রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে জানিয়েছেন, গত গ্রীষ্মের পর মস্কো-ইসলামাবাদ বাণিজ্য এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: রাশিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যেকার বাণিজ্য বাড়তে শুরু করেছে। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রেক্ষিতে সৃষ্ট নানা বাধা পেরিয়ে রাশিয়া থেকে আমদানি বৃদ্ধি করেছে পাকিস্তান। গত গ্রীষ্মে দুই দেশের মধ্যেকার বাণিজ্য কিছুটা হোঁচট খেলেও সেই পরিস্থিতি এখন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী সৈয়দ নাভিদ কামার রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে জানিয়েছেন, গত গ্রীষ্মের পর মস্কো-ইসলামাবাদ বাণিজ্য এক-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নাভিদ কামার বলেন, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত বাণিজ্য বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। ১১ মাসে রেকর্ড ৭৬০ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। যা এর আগের বছর ছিল ৫৬৭ মিলিয়ন ডলার। নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়া কতটা কঠিন সে কথাও উল্লেখ করেন পাক বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে তিনি আশাবাদী যে, মস্কো-ইসলামাবাদ অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হলে দেশ দুটি ডলার ও ইউরোর মতো বিদেশী মুদ্রার ওপর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও গভীর হতে পারতো। তবে সুইফট সিস্টেম ব্যবহার করে লেনদেনে অসুবিধা হওয়ায় গতি কমে যাচ্ছে। পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞার কারণে নিজের পণ্যের বাজার বৈচিত্র্যপূর্ণ করতে বাধ্য হয়েছে রাশিয়া। তারা এখন পশ্চিমাদের বিকল্প বাজার খুঁজছে। চীন, ভারত ও তুরস্কের মতো দেশগুলো রাশিয়া থেকে আমদানি কয়েক গুণ বৃদ্ধি করেছে। তবে অপেক্ষাকৃত ছোট দেশগুলোকেও গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। তারই অংশ হিসেবে গত বছর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করছে দেশটি।
পাকিস্তান এখন ইউয়ানের মাধ্যমে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করতে শুরু করেছে। এ মাসের শুরুতে পাকিস্তান প্রথম বারের মতো রাশিয়া থেকে আসা তেলের দাম ইউয়ানে পরিশোধ করে।