বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ডাক কর্মচারীদের ১০ দফা দাবি
প্রথম নিউজ, ঢাকা : ডাক বিভাগের ৮ হাজার শাখা ডাকঘরে কর্মরত ২৩ হাজার অতিরিক্ত বিভাগীয় কর্মচারীদের মাসিক বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও চাকরী জাতীয়করণসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন।
আজ (শনিবার) প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান ইউনিয়নের নেতারা।সংবাদ সম্মেলনে ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম নিজাম বলেন, আমরা ডাক বিভাগের প্রচলিত সকল সেবা ইউনিয়ন পর্যায়ে দিয়ে থাকি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও আমরা এখনও পায়ে হেঁটে ডাক আদান-প্রদান করে থাকি। ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরে পায়ে হেঁটে ডাক ও ডাকঘরের অন্যান্য সেবা পৌঁছে দিয়ে থাকি। একজন বিভাগীয় কর্মচারী উপজেলা পোস্ট অফিস, সাব পোস্ট অফিস ও হেড পোস্ট অফিসগুলোতে যে ধরনের কাজ করে থাকে একই কাজ ইউনিয়ন পর্যায়ে আমরা করে থাকি।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মাসিক ভাতা সর্বসাকুল্যে ৪ হাজার ৪৬০- টাকা। সরকারি অফিসে কাজ করেও আমরা কোনো প্রকার ঈদ বোনাসসহ উৎসবভাতা ও নববর্ষ ভাতা পাই না। করোনা মহামারির সময়ে আমরা গ্রামে গ্রামে ডাকসেবা প্রদান করে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে সচল রেখেছি। আমাদের কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশনসহ অন্য কোনো আর্থিক সুবিধাও নেই। ডাক বিভাগে ইডি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। প্রতি বছর জুলাই মাসে আমাদের সামান্য ভাতা থেকে ৫০০ টাকা করে কল্যাণ ট্রাস্টে চাঁদা কর্তন করা হয়। চাঁদা দাতা অনেক কর্মচারী মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আজ পর্যন্ত কোনো কর্মচারীকে ওই ট্রাস্ট থেকে কোনো সাহায্য বা কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। দরখাস্ত করেও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকায় কোনো কর্মচারী কোনো আর্থিক সাহায্য প্রাপ্ত হননি।
তাই প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ,আমাদের বেতন ভাতা ন্যূনতম ১৫০০০ টাকা বৃদ্ধি করা হোক।
ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে- ডাকঘর কর্মচারী (আচরণ ও নিয়োগ) বিধিমালা প্রণয়ন, সরকারি কর্মচারীদের মতো সকল ছুটি ভোগের সুযোগ, বয়স্ক ও পেনশনযোগ্য কর্মচারীদের এককালীন গ্রাচ্যুয়িটির ব্যবস্থা, বিভাগীয় ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মতো ছাতা, জুতা ও পোষাক বরাদ্দ করা, স্মার্ট ডাকসেবা প্রদানে ডিজিটাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ ও বাস্তব প্রশিক্ষণ।