বাইডেনের কাছে পাকিস্তানের জন্য ১০১ মিলিয়ন ডলার চাইলেন ডোনাল্ড লু

বুধবার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে জিও টিভি।

বাইডেনের কাছে পাকিস্তানের জন্য ১০১ মিলিয়ন ডলার চাইলেন ডোনাল্ড লু

প্রথম নিউজ, অনলাইন  ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘনিয়ে আসছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পাকিস্তানের জন্য ১০১ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্যে চেয়েছেন দেশটির দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। বুধবার এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে জিও টিভি। জানা গেছে, পাকিস্তানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য এই অর্থ সাহায্যের অনুরোধ করেছেন লু।

পাকিস্তানে গত কয়েক বছরে ব্যাপক আলোচিত নাম ডোনাল্ড লু।  ২০২২ সালে তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান তার সরকার পতনের জন্য এই শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিককে দায়ী করেন।  এরপর দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে বাড়তি পরিচিত পান লু। বর্তমানে ক্ষমতার বাইরে কঠিন সময় পার করছে পিটিআই।  শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বধীন জোট সরকারকে ‘আমদানি করা সরকার’ বলে অভিহিত করেন জেলবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট নিয়ে আলোচনা করার জন্য ডাকা হয় লু কে। আমেরিকান হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের এক কমিটির সামনে পাকিস্তানের জন্য ১০১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দের কথা তুলে ধরেন লু।  তিনি জানান, এই তহবিল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই, অর্থনৈতিক সংস্কার সমর্থন এবং ঋণ ত্রাণ প্রদানের জন্য বরাদ্দ হবে।  লু বলেছেন, এই আর্থিক সহায়তার লক্ষ্য পাকিস্তানের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা।  ৩৭ মাস ধরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিশেষ প্রোগ্রাম মেনে চলার পরও এখনো মারাত্মক সমস্যায় রয়েছে পাকিস্তানের অর্থনীতি।

পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আফগানিস্তানে নারী ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড লু।  তিনি জানিয়েছেন, আফগান নাগরিকদের অধিকারকে ‘সম্মান’ না করা পর্যন্ত তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে পারে না। এছাড়া তালেবান সরকারের প্রতি জিম্মি থাকা আমেরিকান বন্দিদের মুক্তি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

তালেবান কাবুল দখল করার প্রায় তিন বছর পরও আফগানিস্তানে সবচেয়ে বড় সাহায্য দাতা হিসেবে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  ২০২১ সালের ৩০শে আগস্ট, সম্পূর্ণভাবে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহার হওয়ার পর থেকে, আফগানিস্তানে ১৭.৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা প্রদান করেছে ওয়াশিংটন।