প্রেমের টানে উধাও দুই ইউপি সদস্য

উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রেমের টানে উধাও দুই ইউপি সদস্য

প্রথম নিউজ, মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পরকীয়া প্রেমের টানে দুই ইউপি সদস্য বাড়ি থেকে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চারদিন ধরে তাদের দুজনেরই মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় নারী ইউপি সদস্যের স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

উপজেলার রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, রামকৃঞ্চপুর ইউপির ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সাদ্দাম মোল্লার সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার নাজমা আক্তারের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নাজমার সঙ্গে তার স্বামী ইছাক মিয়ার কথাকাটাকাটি হয়। এর জেরে নাজমা স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে থানায় নির্যাতনের অভিযোগ করেন।

গত ২ জুলাই বিষয়টি নিয়ে সবাইকে থানায় ডাকা হয়। কিন্তু নাজমা থানায় উপস্থিত হননি। ইছাক মিয়া বাড়ি ফিরে দেখেন নাজমা বাড়িতেও নেই। রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনে কল দিলেও বন্ধ পান স্বজনরা।

অন্যদিকে, ইউপি সদস্য মো. সাদ্দাম হোসেনও এলাকায় নেই। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় নাজমার স্বামী ইছাক মিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ইছাক মিয়া জানান, সাদ্দামের সঙ্গে চলাফেরা করতে তার স্ত্রীকে বহুবার নিষেধ করা হলেও তিনি মানেননি। তাদের ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুটি ছেলে সন্তান আছে। তার অভিযোগ, নাজমা বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও দেড় ভরি সোনার গহনা নিয়ে গেছেন। ঘটনার পর থেকে সাদ্দামও নিখোঁজ। ইছাক ধারণা করছেন, নাজমা ও সাদ্দাম একইসঙ্গে পালিয়েছেন।

জানা গেছে, ইউপি সদস্য সাদ্দাম হোসেন এর আগে দুটি বিয়ে করেছেন। দুটি বিয়েই প্রেমের সম্পর্কে করা। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী প্রবাসে থাকেন। এরইমধ্যে আবার এক নারী ইউপি সদস্যকে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

রামকৃঞ্চপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল হোসেন জানান, দুই ইউপি সদস্য নিখোঁজ থাকার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাদের দুইজনের ফোন বন্ধ আছে। ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা পেলে দুই ইউপি সদস্যকে শোকজ করা হবে। শোকজের জবাবের পরই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।