প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চান ভাতা বৃদ্ধিতে আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমাদের শুরুতে সন্তানতুল্য বললেও এখন তিনি আমাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা এলিগেশন (অভিযোগ) উপস্থাপন করছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে নিজেদের দুঃখ-কষ্ট জানাতে চান ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীন প্রাইভেট পোস্টগ্রাজুয়েশনে প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আমাদের শুরুতে সন্তানতুল্য বললেও এখন তিনি আমাদের বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা এলিগেশন (অভিযোগ) উপস্থাপন করছেন, যা খুবই দুঃখজনক।
আজ শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডা. জাবির এবং ডা. তানভীর।
প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, জাতির পিতার হস্তক্ষেপ ছাড়া যেমন বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি, তেমনি আপনার হস্তক্ষেপ ছাড়া বর্তমানে কোনো যৌক্তিক আন্দোলনও সফলতার মুখ দেখেনি। আপনার প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আগেও ছিল, এখনও আছে। আমাদের চিকিৎসকদের জন্যে আপনি এখনও পর্যন্ত যা করেছেন তা ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ডা. জাবির বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ আন্তর্জাতিক সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। আমরা অচিরেই চাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়, ভিসি স্যার, বিসিপিএস প্রেসিডেন্ট, ডিজি হেলথ পরিচালক মহোদয়, ডিজি এডুকেশন পরিচালক মহোদয়, স্বাচিপ এবং অন্যান্য অথোরিটির ব্যক্তিবর্গ যারা আছেন- অনুগ্রহ করে আমাদের একটি সুস্থ দিক নির্দেশনা এবং সুনির্দিষ্ট প্রজ্ঞাপন দিন।
তিনি বলেন, আমাদের এই যৌক্তিক দাবিদাওয়া নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমাদের প্রতিনিধি দল বৈঠক করে শিগগিরই একটা ফলপ্রসূ সমাধানে পৌঁছাতে চাই। আমরা জানি প্রধানমন্ত্রী আমাদের ফিরিয়ে দেবেন না। বিএসএমএমইউ উপাচার্য এবং সাম্প্রতিক আন্দোলন প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, একজন পিতৃতুল্য অভিভাবক হিসেবে স্যার আমাদের বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কথা চিন্তা করে যতটুকু যেটা করা প্রয়োজন, স্যার যেনো সেটা করেন। স্যার বলেছিলেন- উনি আমাদেরকে নিয়ে আমাদের দাবির পক্ষে প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে যাবেন। আমরা স্যারের সাথে যেতে রাজি আছি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ জুন) তিন দফা দাবিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন প্রাইভেট পোস্টগ্রাজুয়েশন প্রশিক্ষণরত চিকিৎসকরা।