‘নির্বাচন শেষ, লোডশেডিং শুরু’

আজ বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের নেতারা এসব কথা বলেন।

‘নির্বাচন শেষ, লোডশেডিং শুরু’

প্রথম নিউজ, খুলনা: খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শেষ হওয়ার পর দিন থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। তারা বলেন, ১২ জুন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে খুলনায় লোডশেডিং ছিল না। কারণ আমাদের এখন যিনি খুলনার মেয়র হয়েছেন, তিনি তার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। উনি বলেছেন আমি ভোট পাব কই খুলনায় তো কারেন্ট থাকে না, মানুষেরা আমারে ভোট দেবে না। আমরা তখন বলেছিলাম নির্বাচনকে সামনে রেখে এই কথাগুলো বলা হচ্ছে। ঠিক সেই কাজটি করা হয়েছে। গতকাল থেকেই লোডশেডিং শুরু হয়েছে। আজকেই তার প্রমাণ আপনারা অসহ্য গরমের মধ্যে কেউ বসতে পারছেন না। বিদ্যুৎখাতে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগর বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের নেতারা এসব কথা বলেন।

অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুন খুলনায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি উপলক্ষ্যে এই প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। এই প্রেস ব্রিফিংয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। বক্তৃতা করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।

এ সময় খুলনা বিএনপির নেতারা বলেন, আমরা নেতাকর্মীদের বলেছিলাম এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেব না। নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছিলাম আপনারা ভোট দিতে যাবেন না। নেতাকর্মীরা আমাদের আহ্বানে শতভাগ সাড়া দিয়েছে, যা ভোট কাস্টিং দেখলেই বুঝবেন। এখানে সাজিয়ে দেখানো হয়েছে ভোটের পার্সেন্টেজ। বিকেলে দেখলাম ৪২ শতাংশ, রাতের বেলা বলে ৪৮ শতাংশ। ইভিএম বিষয়ে তারা বলেন, ইভিএম এমন একটি বাক্স, যে বাক্সে সবকিছুই করা সম্ভব। ইভিএম এমন একটি জাদুর বাক্স, যেই বাক্স দিয়ে যে কাউকে হারানো যায়, যে কাউকে জেতানো যায়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নেতা স ম আব্দুর রহমান, আবুল কালাম জিয়া, কাজী মাহমুদ আলী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শের আলম সান্টু, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ সাদী প্রমুখ। এসময় স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।