নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভৈরবে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক
প্রথম নিউজ, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জে ভৈরব থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলমসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ভৈরবে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে উপজেলা ও ভৈরব পৌর বিএনপি। শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
জানা যায়, জেলা বিএনপির সভাপতিসহ ৫ নেতাকর্মীকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গ্রেপ্তারের অভিযোগ করেছে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি এবং অবিলম্বে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে মুক্তির দাবি জানিয়েছে দলটি। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করবে ভৈরব উপজেলা ও পৌর বিএনপি।
ভৈরব পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী শাহিন হরতালের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আমাদের ভৈরব কুলিয়ারচরের প্রিয় নেতা শরিফুল আলম ভাইসহ যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাই। শরিফুল আলম ভাইকে গ্রেপ্তার করার পর থেকেই পুলিশ তার অবস্থান নিয়ে টালবাহানা করছে। আমরা ভৈরব উপজেলা ও পৌর বিএনপি আগামীকাল সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করব। হামলা মামলা গ্রেপ্তার করে আমাদেরকে আন্দোলন থেকে সরাতে পারবে না। এই সরকারের পতন হবেই ইনশাল্লাহ।
উল্লেখ্য, ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের হামলা, গুলিবর্ষণ এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক ও আহত করার প্রতিবাদে পরের দিন রোববার দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে বিএনপি। একদিন কর্মসূচি বিরতি দিয়ে আবার ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বাত্মক অবরোধ পালন করে দলটি।
গত মঙ্গলবার বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় জেলার কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে ও ভৈরবে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, সে সময় কুলিয়ারচরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন এবং পরদিন ভৈরবে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় এনিয়ে জেলায় তিন বিএনপি সমর্থক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধের মধ্যেই গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আধা বেলা হরতাল পালন করে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি।
কুলিয়ারচরের নিহত দুইজন হলেন, ছয়সূতী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি বিল্লাল মিয়া (৩০) ও উপজেলা ছাত্রদল নেতা শেফায়েত উল্লাহ (২০)। ভৈরব পৌর বিএনপির ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য আশিক মিয়া (৫০)। উভয় ঘটনায় ৪০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
এরপর পুলিশ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে তিনটি স্থানে বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহতের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগ এনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।