ধেয়ে আসছে মহাশক্তিশালী সুপার টাইফুন মাওয়ার
প্রশান্তীয় অঞ্চলে প্রবেশের পর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ টাইফুনটির নাম দিয়েছে ‘বেটি’। বর্তমানে টাইফুনটি ২৭০ কিলোমিটার গতির শক্তি সঞ্চার করছে
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনের দিকে প্রবল শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে সুপার টাইফুন মাওয়ার। জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, ২০২৩ সালে যতগুলো টাইফুন সংঘটিত হয়েছে, এগুলোর মধ্যে মাওয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী। এটি শনিবার ক্যাটাগরি-৫ টাইফুনে রূপ নেয়।
প্রশান্তীয় অঞ্চলে প্রবেশের পর ফিলিপাইনের কর্তৃপক্ষ টাইফুনটির নাম দিয়েছে ‘বেটি’। বর্তমানে টাইফুনটি ২৭০ কিলোমিটার গতির শক্তি সঞ্চার করছে।
শনিবার (২৭ মে) সর্বশেষ আপডেটে ফিলিপাইনের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ‘টাইফুনটি শক্তি ধরে রেখেছে’ এবং এটি উত্তরদিকে ক্রম অগ্রসরমান রয়েছে। দেশটির অধিকাংশ অঞ্চলে বজ্র বৃষ্টি এবং ভূমি ধসের সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
জাপানের আবহাওয়া অ্যাসোসিয়েশন মাওয়ারকে বিধ্বংসী টাইফুন হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা জানিয়েছে, টাইফুনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৯৪ কিলোমিটার।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধু ২০২৩ সাল নয়, ২০২২ সালেও যত টাইফুন সংঘটিত হয়েছে সেগুলোর চেয়েও শক্তিশালী মাওয়ার।
এদিকে টাইফুনটি শক্তি সঞ্চার করার আগে কিছুটা দুর্বল হয়ে বুধবার গুয়ামের পাশ দিয়ে আসে। এটির প্রভাবে গুয়ামে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত, গাড়ি উড়ে যাওয়া ও গাছপালা উপড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
টাইফুনটির প্রভাবে গুয়াম দ্বীপের ৫২ হাজার বাসিন্দার প্রায় সবাই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। যদিও এটির আঘাতে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
পৃথিবীতে মে মাসে যত টাইফুন আঘাত হেনেছে সেগুলোর মধ্যে মাওয়ারকে শক্তিশালী পাঁচটি টাইফুনের মধ্যে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা।
টাইফুনের কারণে ইতোমধ্যে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০২১ সালে ফিলিপাইনে আঘাত হানা টাইফুন রাইয়ে প্রায় ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। প্রশান্ত মহাসাগরের এ দেশটি প্রায়ই টাইফুনের কবলে পড়ে থাকে। এখন নতুন করে আরেকটি বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রয়েছে ফিলিপাইন।