দেশে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু

আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকায় ৩৭.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যদিও অনুভূতি ছিল বেশি। তীব্র গরমে কর্মব্যস্ত রাজধানীবাসীকে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে।

দেশে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু

প্রথম নিউজ, অনলাইন: কয়েকদিনের স্বাভাবিক তাপমাত্রার পর বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে তাপমাত্রার তীব্রতা বেশি ছিল। আবহাওয়া অধিদপ্তর ঢাকায় ৩৭.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে, যদিও অনুভূতি ছিল বেশি। তীব্র গরমে কর্মব্যস্ত রাজধানীবাসীকে হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে। আর দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে, ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অতিরিক্ত গরমে দেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র দাবদাহে ৩ জনের মৃত্যু ও ২৫ জনের অসুস্থ হওয়ার খবর জানা গেছে। 

প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দাবদাহের খবর পাঠিয়েছেন প্রতিনিধিরা। কিশোরগঞ্জে দাবদাহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রচণ্ড দাবদাহে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং সিলেটে এক যুবক মারা যাওয়ার খবর জানা গেছে। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় প্রচণ্ড দাবদাহে একটি বিদ্যালয়ের অন্তত ২৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে একজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে হোসেনপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা সাংবাদিকদের বলেন, দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়া ২৫ শিক্ষার্থীর বেশিরভাগই দোতলার ভবনে ক্লাস করছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। গুরুতর অসুস্থ একজনকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।  কিশোরগঞ্জের নিকলি আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আক্তার ফারুক জানান, গত কয়েক দিন ধরে কিশোরগঞ্জে তাপমাত্রা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় হিট স্ট্রোকে দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। তারা হলেন, উপজেলার বাঙ্গালা ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের কৃষক বিষ্ণুপদ মজুমদার (৫১) ও বিনায়েকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ছাইদুল ইসলাম লাবলু (৫৭)। তারা দুজনই তাদের গ্রামের পাশের মাঠে প্রচণ্ড রোদ ও দাবদাহের মধ্যে ধান কাটছিলেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাদেরকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তারা মারা যান। 

তীব্র দাবদাহে নাকাল সিলেট। গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বৃদ্ধ, শিশু ও রোগীদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজারে চলার পথে হঠাৎ মূর্ছা যান এক যুবক। অল্প সময়ের মধ্যে সেখানেই তিনি প্রাণ হারান। তার মৃতু্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। মহানগরের জিন্দাবাজারস্থ সিটি শপিংমল সিটি সেন্টারের সামনে দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান। তার নাম মো. শফিকুল ইসলাম (৩৫)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি উপজেলার নয়াগ্রামের আবু আহমেদের ছেলে। 

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সিলেটে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।