তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা: মির্জা ফখরুল
মহানগর দায়রা জজ আদালত কর্তৃক গ্রেফাতারি পরোয়ারা জারির পর আজ মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ‘সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মহানগর দায়রা জজ আদালত কর্তৃক গ্রেফাতারি পরোয়ারা জারির পর আজ মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সোমবার রাতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি এর জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বাবু গয়েশ^র চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের দলের নেতা তারেক রহমান সাহেব ও তার সহধর্মিনী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ারা জারি করা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নাই। আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য এসব মামলা করেছে। উদ্দেশ্য একটাই, এই সমস্ত মামলা করে তাদেরকে মূলত বাংলাদেশ থেকে দূরে সরিয়ে রাখা, রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটা প্রচেষ্টা মাত্র। আমরা এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে এই গ্রেফাতারি পরোয়ানা ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অজর্নের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত তারেক রহমান ও তার সহধর্মিনী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। বিচারক আসাদুজ্জামান দুদকের এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহন করে গ্রেফাতারি পরোয়ানার এই আদেশ দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সবাই জানি, শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আজকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহে অন্তরীন করে রাখা হয়েছে। মিথ্যা মামলাগুলো দিয়ে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তার সহধর্মিনী যিনি একেবারেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না, তিনি একজন পেশাজীবী মেধাবী চিকিৎসক। শুধুমাত্র এই পরিবারের বধু হওয়ার কারণে, রাজনৈতিক কারণে তার বিরুদ্ধে এই মামলা নিয়ে আসা হয়েছে তার বিরুদ্ধেও গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। শুধু তাদের বিরুদ্ধে নয়, যারা বিরোধী দল করছে, বিএনপির সাথে যারা জড়িত, তাছাড়া অন্যান্য দলের সঙ্গে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা করছে।
‘জোবাইদা রহমান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা- এটা আতঙ্কটা হচ্ছে পুরোপুরিভাবে জিয়া পরিবার এবং বিএনপির ব্যাপার। এই জিনিসটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে। আপনারা যদি প্রথম থেকে দেখেন, পুরো বিষয়টা বিশ্লেষন করেন তাহলে দেখবেন যে, ১/১১ ঘটনা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য। বলা হয়েছে যে, মাইনাস টু। কিন্তু ঘটনা ঘটানো হয়েছে একটা পরিবারের বিরুদ্ধে। একইভাবে দেখেন গত ১৪ বছর নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিএনপিকে একেবারে নির্মূল করে দেয়ার জন্য যত রকমের নিপীড়নমূলক-নিবর্তনমূলক আইন, যত রকমের নির্যাতন-অত্যাচার, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, র্যাব, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা করেছে গুম, হত্যা, খুন, মামলা দিয়ে- এটা হচ্ছে তারই একটা অংশ যে, ডা. জোবাইদা রহমান ও আমাদের নেতার বিরুদ্ধে যে মামলা যে মামলার কোনো ভিত্তি নেই।
তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শুরু থেকে তারা এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্যে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এবং তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাকে তারা একটা অস্ত্র হিসেবে নিয়েছে বিরোধী দলকে দমন করবার জন্যে এবং দেশে একটা বিরাজনীতিকরণে একটা অবস্থা তৈরি করার জন্যে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকারের টার্গেট একটা বিএনপিকে নির্মূল করা। সেইকারণে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, গ্রেফতারি পরোয়ারি জারি করছেৃ.। কিন্তু করলে কি হবে? মানুষ তো বিএনপিকে চায়।বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে মানুষের রাজনীতি। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন যে, এতো অত্যাচার নির্যাতনের পরেও আমি নিজে যেকথা প্রায় বলি যে, ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠে বিএনপি। এটা কিন্তু রোধ করার কোনো উপায় নেই। কারণ ইটস এ পিপলস পার্টি, বিএনপি হচ্ছে জনগনের দল। এখানে শত চেষ্টা করেও বিএনপিকে নির্মূল করা যায় না। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, জেলে দিয়ে কি এই আন্দোলন রোধ করা যায়? এটা সরকারি দলের বেশি জানা উচিত।তাদের নেতাদেরকে পাকিস্তান রোধ করতে পেরেছিলো।পারেনি। পারা যায় না। আজকে দুর্ভাগ্য আওয়ামী লীগ সেই পাকিস্তানি শাসকদের মতোই বিহেব করছে। এই কথা বললে আবার তাদের গায়ের মধ্যে লাগে আর কি।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে সোমবার অনুষ্ঠিত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ তুলে ধরেন মহাসচিব। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সভায় দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সদ্য মরহুম সাবিহ উদ্দিন আহমেদ ও মশিউর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
সভায় নিম্নে বর্ণিত সিদ্ধান্ত সমূহ গৃহীত হয়।
১। সভায় বিগত ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ পঠিত ও অনুমোদিত হয়।
২। সভার শুরুতে মাননীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সাবেক সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত সাবিহ উদ্দিন আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।
৩। সভায়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের প্রায় ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অনির্বাচিত সরকারের পদত্যাগের দাবীতে, জ¦ালানী ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যদির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বিক্ষোভ মিছিলে ৪ জনকে পুলিশের গুলিতে হত্যা ও ১ জনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্যাতনে হত্যার প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত বিভাগীয় গণ-সমাবেশ গুলোতে সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণের জন্য সেই সব বিভাগের জনগণকে ধন্যবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে এই সকল সমাবেশ সফল করার লক্ষে বিএনপি’র সকল স্তরের নেতা-কর্মী যে অক্লান্ত শ্রম ও মেধা প্রয়োগ করে সম্মেলন গুলোকে সফল করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানানো হয়।
৪। সভায়, বিভাগীয় গণ-সমাবেশ গুলোতে বাধা প্রদান করার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও নেতা-কর্মীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ এবং পুলিশের কতিপয় অতি উৎসাহী সদস্যের শক্তি প্রয়োগ, নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা প্রদানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। বিশেষ করে যাত্রাপথে বাধা, সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কর্মজীবী মানুষের মেস, হোস্টেল ত্যাগে বাধ্য করা, বিভিন্ন নিপীড়ন মূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। উপরন্ত বাস মালিক ও শ্রমিকদের দিয়ে বিনা কারনে সমাবেশের দুই দিন পূর্বে পরিবহণ ধর্মঘট পালন করায় জন-জীবনে যে অসহনীয় দূর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভা মনে করে, এই অনির্বাচিত সরকার অবৈধ ভাবে ক্ষমতাকে রাখার লক্ষে জনগণের সংবিধান সম্মত সভা, সমাবেশ পন্ড করার উদ্দেশ্যে এই অনৈতিক, অসাংবিধানিক পথ বেছে নিয়েছে। এটা সুস্পষ্ট ভাবে মানবাধিকার ও সংবিধান লংঘন। এই অনৈতিক অসাংবিধানিক কর্মকান্ড থেকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সরে এসে জনগণের সংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহণ করতে হবে।
৫। সভায়, সম্প্রতি গণ-মাধ্যমে প্রকাশিত অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ‘সামনের বছর দূর্ভিক্ষ হতে পারে’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সভায় মনে করে এই উক্তিতে এটা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে সরকার আপদকালীন খাদ্য মজুদ করতে ব্যর্থ হয়েছে। একই সঙ্গে খাদ্য শষ্য আমদানী গত চার মাসে প্রায় ৩৭ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদপ্তরের নজীর বিহীন দূর্নীতি, উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারনে খাদ্য নিরাপত্তা চরম হুমকির সম্মুখীন। একই সঙ্গে দূর্নীতির কারনে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে ব্যয়ের ফলে ডলার সংকটের কারনে আমদানীর জন্য এলসি খুলতে না পারা আমদানীকে ব্যাহত করছে। ডলার সংকট সৃষ্টির জন্য সম্পূর্ণভাবে সরকারের দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়। রিজার্ভ থেকে অনৈতিক ভাবে ডলার সরিয়ে নেওয়া, প্রবাসীদের আয় বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশ থেকে বিদেশে হুন্ডি করে, প্রতি বৎসর প্রায় ৭/৮ বিলিয়ন পাচার করে এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে ফেলেছে। সভায় গ্যাসের অভাবে সার কারখানা বন্ধ করে সারের মূল্য বৃদ্ধি, বীজের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ও ডিজেলের অভাবে সেচ কার্য ব্যাহত হওয়ায় খাদ্যশষ্য উৎপাদন ব্যয় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে কৃষকেরা ধানসহ খাদ্যশষ্য উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। এসবের মূল কারন হচ্ছে সরকারের দূর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা। সব মিলিয়ে খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে।
সভায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য এই অবৈধ সরকারকে দায়ী করা হয় এবং সংকটময় পরিস্থিতির সকল দায় নিয়ে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।
৬। সভায়, সারাদেশে জ¦ালানীর অভাবে প্রায় ৩৮.৭২ শতাংশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটর অচল হওয়া এবং প্রায় ৫০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জেনারেটর না থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন লোডশেডিং এ স্বাস্থ্যসেবা চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জনগণের দূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। সভা মনে করে, দূর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনা সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে ফেলেছে। সরকারী হাসপাতল গুলো দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলোতে চিকিৎসকের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেনা গ্রামীণ জনগণ। বেসরকারী হাসপাতালে অতিরিক্ত ব্যয় ও অব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্য সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। সারা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে এর দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবী করা হয়।
৭। সভায় সম্প্রতি, অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ‘বিএনপি’র দশা হেফাজতের মতো হবে’ উক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। সভা মনে করে এই উক্তি, উদ্দেশ্য মূলকভাবে বিরোধী দলের সংবিধান সম্মত গণতান্ত্রিক কর্মসূচী গুলোকে বাধা গ্রস্থ করবার হুমকি। সভা মনে করে ৫ মে ২০১৩ তাহলে হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে এই নিপীড়নকারী কর্তৃত্ববাদী, একনায়কতান্ত্রিক ফ্যসীবাদী সরকার যেভাবে অসংখ্য আলেম ওলেমা ও মাদ্রাসার কিশোর ছাত্রদের হত্যা করেছে এবং পরবর্তীতে অসংখ্য হয়রানীমূলক মামলা দিয়ে অনেককে এখনও কারাগারে আটক রেখেছে এটা তারই স্বীকারোক্তি। এই ভয়াবহ হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে মানবাধিকার সংস্থা গুলোর কর্মকর্তাদের হয়রানি, মিথ্যা মামলা এবং নিবন্ধণ বাতিল করা হয়েছে। ইতিপূর্বেও বিএনপি এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ও প্রতিবাদ করেছে। শেখ হাসিনার এই উক্তির কারনে দেশে পুনরায় আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের আইন সম্মত কর্মসূচী বানচাল করার চক্রান্ত বলে প্রতীয়মান হয়। বিএনপি হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর নির্মম হামলা ও হত্যাকান্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত পূর্বেও দাবী করেছে এবং পুনরায় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী করছে। সভা এই অনির্বাচিত সরকারকে জনগণের সংবিধান সম্মত সকল কর্মসূচীতে কোন বাধা প্রদান না করার আহ্বান জানায়। অন্যথায় সকল দায় দায়িত্ব সরকারকে গ্রহণ করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি উপস্থিত ছিলেন।