ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র

শুক্রবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় ডয়চে ভেলের বিশেষ তথ্যচিত্রটি শেয়ার করা হয়।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রথম নিউজ ডেস্ক: র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) নিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে করা অভিযোগ খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে বাংলাদেশ সরকারকেও প্রতিবেদনটিকে আমলে নিতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। শুক্রবার ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পাতায় ডয়চে ভেলের বিশেষ তথ্যচিত্রটি শেয়ার করা হয়। সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলের বক্তব্যও শেয়ার করে দূতাবাস। বেদান্ত প্যাটেলকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়, ‘আমরা এই ভিডিওতে থাকা অভিযোগ অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে খতিয়ে দেখব এবং আমরা আশা করি বাংলাদেশ সরকারও তাই করবে... মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ’ ৩ এপ্রিল ডয়চে ভেলে র‌্যাবের বিপক্ষে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এদিকে প্রতিবেদনটি ও র‌্যাবকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয় এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সোহেলী সাবরীন। তিনি বলেন, র‌্যাবকে নিয়ে জার্মান গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ভিত্তিহীন। র‌্যাব দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্যে তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে না। বৃস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। 

সোহেলী সাবরীন আরও বলেন, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটিতে র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। উচ্চপদস্থ রাজনীতিবিদরা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে এই এলিট বাহিনীকে ব্যবহার করছেন এমন অভিযোগও তোলা হয়, যার সবই ভুয়া। এখানকার বেশিরভাগ তথ্যই পুরোনো এবং সেকেলে। প্রতিবেদনটি অসঙ্গত এবং অভিযোগগুলো অসত্য। ২০০৪ সালে ২৬ মার্চ গঠিত হয় বাংলাদেশ পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাব। ওই বছরের ১৪ এপ্রিল কার্যক্রম শুরু করে বাহিনীটি।