গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলনকে গতিশীল করব : গয়েশ^র
কঠোর আন্দোলনের ডাকের জন্য নেতাকর্মী ‘চোখ-কান’ খোলা রেখে প্রস্তুতি নিন
প্রথম নিউজ, ঢাকা: কঠোর আন্দোলনের ডাকের জন্য নেতাকর্মী ‘চোখ-কান’ খোলা রেখে প্রস্তুতি নিতে বললেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি আন্দোলনের বিষয়ে এই রকম আভাষ দেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় দলের উদ্যোগে জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে দেশের সকলের মধ্যে একটা ঐক্যবদ্ধ ভাবনা- বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা চাই। এই শব্দটা, এই আবেগটা আমাদের শক্তি আগামী দিনে যেকেনো কিছু প্রতিহত করার জন্যে। আপনারা যা আলাপ করেন, যা ইচ্ছা প্রকাশ করেন, আপনারা চোখ-কান খোলা রেখে ইশারা-ইঙ্গিতে যেভাবে ডাক আসুক, আপনারা সেই ডাকে শামিল হয়ে আপনাদের যে লক্ষ্য খালেদা মুক্তি-চিকিৎসা এবং গণতন্ত্র মুক্ত করা। আন্দোলনে এই দুইটি ফলাফল একই সঙ্গে অর্জন করবো। আমাদেরকে গণতান্ত্রিক পথ অনুসরণ করতে হবে। গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যাপারটা আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে গতিশীল করব, তীব্র থেকে তীব্র করব। যখন আঘাত করা দরকার তখন আঘাতের মধ্য দিয়ে সরকারকে পতন করব।
তিনি বলেন, পুলিশ, সরকারি প্রশাসন, আইন আদালত এটা সবক দিয়ে লাভ নাই। কারণ জীবন সংগ্রামে সুখে থাকার জন্য যখন বিবেক ধবংস হয়ে যায়। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বিবেকের কথা বলে কোনো লাভ নাই এবং জানি যে ভাষায় কথা বলে, খুব বেশিদিন নাই তারা জনগনের প্লাস বুঝবে ক্ষমা চাওয়ার, সেই ক্ষমাটা চাওয়ার মতো পরিবেশ তারা রাখবে কি রাখবে না সেটা তাদের বিবেচ্য বিষয়। আমরা ৫৮ বছরের রাজনৈতিক মাঠে দেখা-চলার মধ্য দিয়ে আমি যা দেখেছি কোনো দিন পুলিশ কোনো সরকার রক্ষা করতে পারে নাই, পারেও না। এখন আশা করছি আমি যখন জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়ে নামবে পুলিশ জনগনের মুখোমুখি যুদ্ধ করতে আসবে না, কোনোদিন আসবে না, আসে না, এটা হয় না। সুতরাং যতক্ষন ক্ষমতায় আছে ততক্ষন চাকুরি হারানোর ভয় যখন আছেন ততক্ষন হয়তবা মনে হবে যে তারা মারমুখী না। যখন পাল্টা আঘাত করবে তখন তারা বুঝবে আস্তে করে কেটে পড়বে।অলিতে-গলিতে কোথায় কেটে পড়বে আস্তে করে সেটা টেরও পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, ‘‘জরিপ করলে তাহলে দেখা যাবে যে বাংলাদেশের শতকরা ৯৯.৯৯ ভাগ বেগম খালেদা জিয়ার এই মুহুর্তের অবস্থায় তার সুচিকিতসা আশা করে। আর পয়েন্ট ১% তার মধ্যে একটি নাম তাকে খুশি করার জন্য তার আশে-পাশে কিছু চাটুকার সভ্যতা, শালীনতার ধার ধারে না। ওই খানে একটা প্রতিযোগিতা আছে। গত ১৩ নভেম্বর থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিতসাধীন আছেন। হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড দ্রুত বিদেশে ্ উন্নত চিকিতসা কেন্দ্রে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার দলের নেত্রী জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে লড়াই করছেন বলে গণমাধ্যমকে গত কয়েকদিন যাবত বলে আসছেন।
জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদ সদস্যজহিরউদ্দিন স্বপন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় পার্টির(কাজী জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনডিপির আবু তাহের প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: