কুয়াকাটায় পর্যটকের রহস্যজনক মৃত্যু
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একটি হোটেল থেকে রিপন বিশ্বাস (২৯) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে
প্রথম নিউজ, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের একটি হোটেল থেকে রিপন বিশ্বাস (২৯) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটার সোনার বাংলা হোটেলের ১০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত রিপন বিশ্বাস ঢাকার আশুলিয়ার মাধব চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন পোশাক শ্রমিক। এক নারীসহ তিন দিন আগে তিনি কুয়াকাটা যান বলে জানা যায়।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে গত ২০ এপ্রিল রিপন বিশ্বাস ও নুপুর বিশ্বাস নামের দুজন পর্যটক ১০৫ নম্বর কক্ষে ওঠেন। গতকাল ঈদের দিনও তারা বাইরে ঘোরাঘুরি করেন। তাদের চলাচলও খুব স্বাভাবিক ছিল বলে জানান। তবে, আজ রোববার সকালে নুপুরের চিৎকার শুনে হোটেলে থাকা লোকজন এসে রিপনের মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রিপনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে রিপনের দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয় দেওয়া নুপুর বিশ্বাস বলেন, আমরা কুয়াকাটাতে আসার পর থেকেই তার আগের স্ত্রী ও তার পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া, কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। বৃহস্পতিবার কুয়াকাটাতে ঘুরতে আসি। টানা তিন দিন কুয়াকাটার সব জায়গায় ঘোরাঘুরি করি। রাতে দুজন ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে রিপনকে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় জানালার সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখি। পরে ফাঁস খুলে নিচে নামিয়ে আনি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, হোটেল থেকে আমাদের ফোন করা হলে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পর্যটকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখি। তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া নুপুর বিশ্বাস নামের ওই নারীও একই রুমে অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়। বিষয়টি খুবই রহস্যজনক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুপুর বিশ্বাসকে আপাতত আটক রাখা হয়েছে।