আগামীকাল বিএনপির সমাবেশে গণতরঙ্গ সৃষ্টি হবে : রিজভী
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন ভাসানী মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা:পাকিস্তানিরা ৯ মাস আর শেখ হাসিনা ১৪ বছর ধরে আমাদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন,'স্বাধীনতা কামী, গণতন্ত্র কামী মানুষের মধ্যে হাসিনা বিরোধী যে ঘৃণা জন্ম নিয়েছে আগামী কর্মসূচিতে তা প্রকাশ পাবে। যারা এই গণতন্ত্র আন্দোলনে শরিক হবেন, সাথে থাকবেন তারা হবে এইসময়ের মুক্তিযোদ্ধা। যারা এর বিরুদ্ধে যাবে তারা হবে নব্য রাজাকার। কারা রাজাকার আর কারা মুক্তিযোদ্ধা নির্ধারণ হয়ে গেছে। তিনি বলেন আগামীকালের বিএনপির যে সমাবেশ হবে সে সমাবেশে গণতরঙ্গ সৃষিট হবে। বাধা হামলা উপক্ষো করে সমাবেশে জনতার ঢল নামবে।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন ভাসানী মিলনায়তনে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালামের সুস্থতা কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। রিজভী বলেন,আগামীকালের জনসভায় বিএনপি'র নেতাকর্মীদের তরঙ্গ সৃষ্টি হবে। কারণ একটা সময় সরকারের মামলা হামলা গুপ্ত হত্যা পুলিশের নির্যাতন নেতাকর্মীরা একটু ভয় পেত কিন্তু এখন কেউ সেগুলো দেখে ভয় পায় না। কারণ মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অনেক হয়েছে, ইলিয়াস আলী নেই,চৌধুরী আলম নেই, সুমন,জাকির নেই, এই যে আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেল। তারা হারিয়ে যাওয়ার পরে কি আমরা ঘরে বসে থাকবো? আমরা কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবো। আমরা যদি রাস্তায় প্রতিবাদ না করি আমরা যদি রাস্তায় নেমে কথা না বলি। আমাদের কন্ঠটাকে যদি উচ্চারিত করতে না পারি তাহলে এই স্বৈরাচারী দানব সরকার জনগণের ঘারের উপর বসে থাকবে।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য পদ্মা মেঘনা যমুনা এবং অনেক নদীর পানির মধ্য দিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষের রক্ত ভেসে গেছে। তার বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন পতাকা। কিন্তু এই বাংলার মাটিতে কেউ যদি মনে করে তার কর্তৃত্ব দেখিয়ে সারা জীবন ক্ষমতায় থাকবে সেটা পারবে না। তিনি বলেন, যে দেশ গুলোতে গণতন্ত্র নাই স্বাধীনতা নাই সেই দেশগুলোর কাছে শেখ হাসিনা ভিক্ষা প্রার্থী হয়েছে। সেই দেশগুলোর কাছে তিনি আশ্রয় প্রার্থনা চাচ্ছে। হাসিনা সারা দেশের মানুষের গলায় ফাসির দড়ি পরিয়ে রেখেছে।তাই গণতন্ত্র কামী বিশ্ব যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে মানুষের কথা বলা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে তারা গোটা পৃথিবী থেকে হাসিনাকে ধিক্কার জানাচ্ছে, নিন্দা জানাচ্ছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ এই ১৪-১৫ বছরে পুলিশ র্যাব সাঁজিয়েছে ক্ষমতায় থাকার জন্য। কিন্তু একবার যদি সিংহাসন উল্টে যায় তাহলে পুলিশ র্যাব আনসার কেউ পাশে থাকবে না। এখনো সময় আছে প্রধানমন্ত্রী নিজের উপলব্ধি করুন নিজের বোধ ফিরিয়ে আনুন। শেখ হাসিনা উদ্দেশ্যে তিনি আরএ বলেন, কোথায় কিভাবে নীল নকশা করছেন এগুলো কিন্তু ফাঁস হয়ে যায়। কাদের কাদের দায়িত্ব দিচ্ছেন কিভাবে ভোট চুরি করতে হবে। কিভাবে কাদের নামে মামলা দিতে হবে। কিভাবে মিথ্যা মামলা গুলোতে সাজা দিতে হবে এই প্রক্রিয়া আপনি শুরু করেছেন। কিন্তু আপনাদের প্রত্যেকটি চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে এবার আপনাদের পরাজিত করবে। আপনার ময়ূর সিংহাসনে আর বসে থাকতে পারবেন না। ঐ সিংহাসন এবার উল্টে যাবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবীর সভাপতিত্বে, যুগ্ম আহবায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আন্তজার্তিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, লিটন মাহমুদ, হাজী মনির হোসেন, প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম। মোনাজাত পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহবায়ক প্রিন্সিপাল মাওলানা নেছারুল হক।