৭ তারিখের নির্বাচনের নামে ‘তামাশা’ বয়কট করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ শীর্ষক গণসংযোগ ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

৭ তারিখের নির্বাচনের নামে ‘তামাশা’ বয়কট করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

প্রথম নিউজ, ঢাকা: গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আমাদের সবাইকে একসাথে রাজপথে নামতে হবে। ৭ তারিখের যে তামাশা সেটা বর্জন করতে হবে, বয়কট করতে হবে। এই তামাশার নির্বাচনে বাংলাদেশের কোন দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে পারে না। 

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ শীর্ষক গণসংযোগ ও সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের এই মুহূর্তের যে আহবান সেটা হচ্ছে এই একতর‍ফা ভোট, তামাশার নির্বাচন এটা বর্জন করুন, বয়কট করুন৷ আমরা পরিস্কার করে বলেছি, এই তামাশার নির্বাচনে, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করার নির্বাচনে বাংলাদেশের কোন দেশপ্রেমিক মানুষ ভোট দিতে পারে না। 

বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতি, এই দেশের নাগরিকদের প্রতি, এই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি যদি সামান্য অঙ্গীকার আমাদের থাকে, তাহলে আমরা কেউ এই ভোটকে সহযোগিতা করতে পারিনা। এই ভোটকে আমরা জায়েয করতে পারিনা। কাজেই আজকের এই তামাশার নির্বাচন, প্রহসনের নির্বাচন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার নির্বাচন যারা হরণ করছে, এই অবৈধ সরকারকে আমরা সবদিক থেকে অসহযোগিতা করার জন্য দেশের মানুষকে বলছি। 

সাকি বলেন, এখন দমন-পীড়ন করে লাভ হবে না। দমন-পীড়ন জায়েয করার জন্য এখন ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছে। তারা একটির পর একটি নাশকতা করছে। ট্রেনে আগুন দিয়ে মা আর শিশুকে কী নির্মমভাবে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছেন। এই কাজগুলো ঘটিয়ে বিরোধী দলের উপর দায় চাপাচ্ছে। এগুলোতো আগেও করেছেন, এখন মানুষ এগুলো আর বিশ্বাস করে না। বিরোধী দলের উপর দায় চাপিয়ে আপনারা সবাইকে গ্রেফতার করবেন, ক্র‍্যাক ডাউন করবেন মানুষ সেটা বিশ্বাস করে না। মানুষ আপনাদের চাল ধরে ফেলেছে। এই সমস্ত নাশকতা যে সরকারি মদদে বিভিন্ন সংস্থার লোকদের দিয়ে করানো হচ্ছে এটা পরিস্কার। 

তিনি বলেন, ট্রেনে আগুন লেগেছে এয়ারপোর্টের ওপাড়ে। তারপর ১২ কিলোমিটার চলে ট্রেন তেজগাঁও চলে আসলো। মাঝে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পড়ল কিন্তু কেউ এই ট্রেন থামাতে পারলো না। মানুষ পুড়ে পুড়ে মরল। এই হচ্ছে  বাংলাদেশ! কারন ওদের (আওয়ামী লীগ) আগুনে পোড়া মানুষ দরকার। সেটা ব্যবহার করে তারা বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করা দরকার। এই নাশকতার পথ আজকে সরকার বেছে নিয়েছে। আমরা ভয়ংকর পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এই দেশকে রক্ষা কর‍তে হলে দেশের সমস্ত জনগণকে রাজপথে নামতে হবে, জনগণকে বৃহত্তর ঐক্যে আসতে হবে। 

পরবর্তী কর্মসূচির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল আমরা গণসংযোগ করব। আগামী পরশুদিন আমরা গণ মিছিল করব এবং সেখান থেকে আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ যাবে না। জনগণ এটা প্রত্যাহার করেছে। তাই আমরা বলতে চাই, আপনারা নির্বাচনে কোটি কোটি টাকা খরচ করবেন না। আমরা ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজপথে থাকব। 

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার বলেন, আপনারা তিন তিনবার ভোটের নাটক করেছেন। আগামী নির্বাচন জনগন বর্জন করবেই করবে। ৭ জানুয়ারি একটা কলংকিত দিন হতে চলেছে। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপনসহ মঞ্চের অন্যান্য নেতারা।