৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ
প্রথম নিউজ, ঢাকা : টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণসহ ৬ প্রকল্পে চীনের কাছে এক বিলিয়ন ডলার চায় বাংলাদেশ। বুধবার সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় মোট পাঁচটা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি চীনের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায়। আমরা এখন এক লাখ নয় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ভূমি অফিস, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক, প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলের আওতায় কানেক্টেড করছি, ৫৫৫টি স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার করছি, পাশাপাশি পূর্বাচলে একটি ৪১ তলা স্মার্ট টাওয়ার করছি- এসবগুলোই ইডিসি (চীনের ঋণ) প্রজেক্টের আওতায় হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিটিসিএলের যে মডার্নাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক, টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং এস্টাবলিশমেন্ট অব ডেটা সেন্টার, এই ছয়টা প্রজেক্টে কিন্তু গত ১০ বছরে এক বিলিয়ন ডলার আমরা চাইনিজ লাইন অফ ক্রেডিট থেকে ব্যবহার করেছি। সেখান থেকে আয় করে আমরা এখন ঋণটা ফেরতও দিচ্ছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন যে প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ স্মার্ট বাংলাদেশ, সেই স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার- স্মার্ট সিটিজেন, ইকোনমি, গভার্নমেন্ট এবং সোসাইটি; সেখানে আমরা চাইনিজ সরকার এবং চাইনিজ এক্সিম ব্যাংক এবং চাইনিজ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির বিনিয়োগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমরা ছয়টি প্রজেক্ট ইআরডির মাধ্যমে চাইনিজ সরকারের কাছে পাঠিয়েছি। মডার্নাইজেশন অব আরবান অ্যান্ড রুরাল লাইফ, সেটা ৫০০ মিলিয়ন ডলারের প্রকল্প। আর একটি আছে টেলিটকের ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং আমাদের বিটিসিএল টেলিফোন শিল্প সংস্থা এবং কম্পিউটার কাউন্সিলের আরও প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট চেয়ে ছয়টি প্রজেক্ট আমরা জমা দিয়েছি।
প্রতিমন্ত্রী জানান, আমরা বাংলাদেশ-চায়না ইনভেস্টমেন্ট সামিট করব। সেটার ব্যাপারেও কথা হয়েছে। আমরা একটা স্মার্ট ইকোনোমি এবং ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ স্ট্রাটেজিক এমওইউ করব। সেখানে আমাদের চারটি লক্ষ্য আছে- রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং গবেষণা ও উদ্ভাবন। এই চারটি এরিয়াতে বাংলাদেশ ও চীন একসঙ্গে কাজ করব। রাষ্ট্রদূত আমাকে কথা দিয়েছেন, তিনি তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের পাশে আগামী পাঁচ বছর থাকবেন। যাতে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের একটি শক্ত ভিত্তি এই পাঁচ বছরে আমরা তৈরি করতে পারি।