হুইপ সামসুলের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার ৫ লাখ টাকা জরিমানা

আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

হুইপ সামসুলের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার ৫ লাখ টাকা জরিমানা
হুইপ সামসুলের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তার ৫ লাখ টাকা জরিমানা

 প্রথম নিউজ, ফটিকছড়ি: জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মাহমুদ সাইফুল করিম ওরফে সাইফ আমিনকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানার টাকা না দিলে আসামিকে ১৮ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিতি ছিলেন।

রায়ে জরিমানার মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (২) ধারায় আসামি মাহমুদ সাইফুল করিমকে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ড এবং একই আইনের ২৯ (২) ধারায় তিন লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৯ মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর আইনজীবী মোহাম্মদ হায়দার তানভীরুজ্জামান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী জুয়ার আসর থেকে ১৮০ কোটি টাকা আয় করেছেন এমন পোস্ট দেন ইন্সপেক্টর মাহমুদ সাইফুল আমিন। এতে হুইপের মান-সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ঘটনায় একই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে মামলা করেন হুইপ শামসুল হক চৌধুরী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলায় বলা হয়, চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানে বাদীর কোথায় নাম আসে নাই। তাই বাদীর বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। যা প্রকাশের মাধ্যমে বাদী সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

২০২০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটির প্রতিবেদন দাখির করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিটিটিসির স্যোশাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল নিশাত। প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, বাদীর বিরুদ্ধে আসামির দেয়া বিতর্কিত পোস্টটি বিভিন্ন জাতীয় প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচার ও প্রকাশ হয়। এতে বাদী সামাজিক, পারিবারিক, রাজনৈতিক ও বন্ধু মহলে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন হন। সামাজিক, পারিবারিক ও বন্ধু মহলে ব্যাপক মানহানি ঘটে। যার ফলে বাদীর নির্বাচনী এলাকায় শান্তিপ্রিয় জনগণের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার উপক্রম হয়।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: