সিরাজগঞ্জে অধ্যক্ষ প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ
রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রায় দুই ঘণ্টা শহরের সয়দাবাদ মুলিবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে আগুন জ্বালিয়ে এ অবোধ করেন তারা।
প্রথম নিউজ, সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির (আইএমটি) নতুন অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রায় দুই ঘণ্টা শহরের সয়দাবাদ মুলিবাড়ী আঞ্চলিক সড়কে আগুন জ্বালিয়ে এ অবোধ করেন তারা।
অবরোধের ফলে এ সড়কে অসংখ্য যানবাহনের জটলার সৃষ্টি হয়। এ সময় ওই অধ্যক্ষ যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে সে জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রায়হান কবির এসে এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের অস্বস্ত করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি সিরাজগঞ্জের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে সপ্তম সেশনের শিক্ষার্থী বখতিয়ার হোসেন ও জুবায়ের হোসেন জাগো নিউজকে জানান, সিরাজগঞ্জের ইন্সটিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির নতুন অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম যোগদানের জন্য এসেছিলেন। যে কারণে আমরা এ আন্দোলন করেছি। কারণ নতুন অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম একজন চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ। আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি ইতোপূর্বে তিনি আই এমটি বাগের হাট বি আই এম টি নারায়ণগঞ্জসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বরত অবস্থায় ব্যাপক দুর্নীতি করায় তাকে বদলি করা হয়েছে। সব শেষ তাকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত করা হয়। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত অধ্যক্ষ আমরা চাই না। দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত করায় আজ আমরা রাস্তায় নেমেছি।
তাদের দাবি, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আইএমটি ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে বদলি করে সিরাজগঞ্জে নিযুক্ত করা হয়েছে।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি সিরাজগঞ্জের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হারুন অর রশিদ বলেন, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে শিক্ষার্থীরাই বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে এ আন্দোলন শুরু করেছে। এ বিষয়ে আমরা নিষেধ করলেও কোনো লাভ হয় নি।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি সিরাজগঞ্জের নব নিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এসব বিষয়ে আমি মুঠোফোনে কথা বলতে পারবো না। পরে সাক্ষাতে বিস্তারিত জানাবো। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) রায়হান কবির বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা এ বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি শিক্ষার্থীদের অস্বস্ত করা হলে তারা তাদের অবরোধ তুলে নেন।