সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: নুর

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যায় একতরফা প্রহসনের ভোটের প্রতিবাদে’ এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: নুর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুলহক নুর বলেছেন, বিএনপিসহ নির্বাচন বর্জনকারী সকল দলগুলোকে নিয়ে নতুনভাবে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন ও সংগ্রাম চলবে। আমরা রাজপথে আছি, বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ থেকে ফিরবো না। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র হত্যায় একতরফা প্রহসনের ভোটের প্রতিবাদে’ এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি। সকাল ১১টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত মুখে কালো কাপড় বেঁধে এই অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিল করেন দলটির নেতাকর্মীরা।

নুরুল হক নুর বলেন, বিএনপিসহ সকলকে বলবো, এবার আর ভুল করা যাবে না। ৮০ থেকে ৯০ ভাগ জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আন্দোলনের গণঅভ্যুত্থানেই এই সরকারের পতন হবে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গণদাবি উপেক্ষা করে জনবিচ্ছিন্ন সরকার দেশে একদলীয় শাসন বাকশাল কায়েমে ভারতীয় মদদে এই একতরফা নির্বাচন করেছে। নিজেরা নিজেরা নির্বাচন করেছে। সেখানেও কেন্দ্র দখল, জোরজবরদস্তি করে ব্যালটে সিল মারা, শিশুদের দিয়ে ভোটদান, গোলাগুলি, মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। দেশের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ মানুষ ভোট বর্জন করে এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। নুর বলেন, সিইসি বিকাল ৩টার সময় একবার বললেন ২৮শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। 

তার ১ ঘন্টা পর বললেন ৪০শতাংশ! প্রকৃত অর্থে ১০ শতাংশ ভোট পড়েছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি, লোকজন ভোট না দিলেও এরা ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখাবে। কাজেই ভোট কতো পারসেন্ট পড়েছে, কারা ভোট দিয়েছে, কারা প্রার্থী হয়েছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করার অবকাশ নাই। এই নির্বাচনই অবৈধ। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে জনমতের বাইরে এই ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, মন্ত্রীদের কথা শুনে লজ্জা লাগে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বললেন, ভোটের মাধ্যমে নাকি তাদের বিজয় হয়েছে। তর্কের খাতিরে আপনাদের কথা যদি ধরেও নেই যে, ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে তাহলেও তো সংখ্যা গরিষ্ঠ ৬০ শতাংশ মানুষ আপনাদের প্রত্যাখান করেছে। কিভাবে বলেন জনগণ আপনাদের ভোট দিয়েছে। 

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব পর্যায়, রাষ্ট্রের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ সর্বত্র ভারতীয় লোক রয়েছে। যারা দেশকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায়। ৭ই জানুয়ারি ফেলানি হত্যা দিবস, সেই দিন কেনো নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলো? আগে কিংবা পরেও তো করা যেতো। ফেলানি হত্যাসহ সীমান্ত হত্যার কথা মানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতেই ৭ই জানুয়ারি ভারতীয় মদদে এই প্রহসনের ভোটের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।