সরকার চাইলে কোটার পরিবর্তন করতে পারবে
হাইকোর্টের আংশিক রায় প্রকাশ
প্রথম নিউজ, অনলাইন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল বিকালে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের এই মূল অংশ প্রকাশ করেন। রায়ে বলা হয়েছে সরকার প্রয়োজনে কোটা পদ্ধতির পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করতে পারবে এবং কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে পারবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের রায়ের মূল অংশটুকু প্রকাশিত হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, বিবাদীরা (সরকার) যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে কোটা রিডিউস (হ্রাস), ইনক্রিজ (বাড়ানো), দ্য রেশিও অব দ্য পার্সেন্টেজ (শতকরা হার) পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে পারবে। কোনো পাবলিক পরীক্ষায় যদি কোটা থেকে চাকরিপ্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে প্রার্থীর মাধ্যমে তা পূরণ করতে বিবাদীদের স্বাধীনতা থাকবে। এ রায় সরকারের পরিবর্তন-পরিবর্ধনে কোনো বাধা হবে না।
গত ৫ই জুন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। গতকাল হাইকোর্টের দেয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হলো। প্রকাশিত রায়ে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হলো। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীসহ যদি অন্য কোনো কোটা থাকে, তা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হলো। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র জারি করতে নির্দেশ দেয়া হলো।
রায়ে আরও বলা হয়, সরকার চাইলে কোটার রেশিও পরিবর্তন-পরিবর্ধন, কমানো-বাড়াতে পারবে। যে কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূর্ণ না হলে কিংবা কাউকে না পাওয়া গেলে বা পদ শূন্য থাকলে তা সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা যাবে। মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেন। গতকাল রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেন।