সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের কিছু দলবাজ কর্মকর্তার অপপ্রচার ষড়যন্ত্রেরই অংশ: মির্জা ফখরুল

মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ.বি.এম.আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের কিছু দলবাজ কর্মকর্তার অপপ্রচার ষড়যন্ত্রেরই অংশ: মির্জা ফখরুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনের অতি নগণ্য সংখ্যক দুর্নীতিপরায়ণ ও দলবাজ কর্মকর্তা অপপ্রচার চালাচ্ছে যে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আওয়ামী শাসনামলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুতি করা হবে। এমনকি জেল-জরিমানার মতো পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। বোঝা যায় যে, অনির্বাচিত ও অবৈধ আওয়ামী সরকার জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যে সব ষড়যন্ত্র করছে; এমন অপপ্রচার সেই ষড়যন্ত্রের’ই একটি অংশ। মঙ্গলবার রাতে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ.বি.এম.আব্দুস সাত্তার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী যেসব কর্তৃপক্ষের বেআইনি আদেশে কিংবা চাপে পড়ে বিতর্কিত কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন, যা প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী পরবর্তীতে অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি বলে পরিগণিত হবে। সেসকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির আহ্বান হল- এখন থেকে তারা যদি আর এরূপ অন্যায়, অবৈধ ও বেআইনি কোন কাজ না করেন, তাহলে তাদের পূর্ববর্তী ভূমিকা সহানুভূতি ও ইতিবাচক দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হবে।  

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, দ্য গর্ভনমেন্ট সার্ভেন্টস (কনডাক্ট) রুলস, ১৯৭৯ অনুযায়ী সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কেবলমাত্র আইনানুগ আদেশ ও নির্দেশ মেনে চলতে বাধ্য। কিন্তু বে-আইনী আদেশ মানা বা বাস্তবায়নে বাধ্য নন। এ দেশের সন্তান হিসেবেও দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য। বিএনপি একান্তভাবেই প্রত্যাশা করে যে, সরকারি কর্মকর্তা-কার্মচারীগণ কোন দল বা গোষ্ঠির স্বার্থে কাজ না করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সততা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দেশ ও জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব পালন করবেন।