শিরিন-ফারুক-আবুল হোসেনসহ বিএনপির ১৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড ১নং পুল সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রথম নিউজ, বরিশাল: কেন্দ্রীয় বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক ও বরিশাল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড ১নং পুল সংলগ্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
যদিও পুলিশ দাবি করছে, ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে নাশকতার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেছেন মেট্রোপলিটন কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি জানান, অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দ্রুতই আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এদিকে বিএনপির নেতারা বলছেন, পুলিশ ১০ জনের কথা বললেও তারা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি ১৩ জন হলেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, সদস্য আবু মুসা কাজল, ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব সাব্বির আলী শেখ, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব হানিফ হাওলাদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক দ্বীন ইসলামিক ইকু, মোহাম্মদ আনিস, সদস্য শামসুল আলম মন্টু, মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস হাওলাদার, ছাত্রদল নেতা সাকলাইন মোস্তফা, যুবদল নেতা রেজাউল রহমান কিরণ, চন্দ্র মোহন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা কাজী মোহাম্মদ ফিরোজ, ১১নং ওয়ার্ড শ্রমিক দল নেতা মোহাম্মদ আসলাম হোসেন, ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা রাশেদুজ্জামান খান এঞ্জেল।
ওদিকে সরকার পতনের আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে বান্দ রোডে মহানগর ছাত্রদল বিক্ষোভ মিছিল বের করে। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল করিম রনি। এসময় তারা টায়ারে অগ্নিসংযোগ করেন। তবে পুলিশ আসার আগেই বিক্ষোভ শেষ করে চলে যান নেতারা।