শেরে বাংলা’র নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: তারেক রহমান

শেরে বাংলা’র নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: তারেক রহমান

প্রথম নিউজ, অনলাইন: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের একজন অনন্য, প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তার অবদান ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে এ জাতীয় নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (২৬ এপ্রিল) শেরে বাংলার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে এসব লেখেন তিনি। তারেক রহমান পোস্টে লেখেন, ‘জাতীয় নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার অক্ষয়-অমলিন স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’

রাজনীতিবিদ হিসেবে শেরে বাংলার ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি লিখেন, ‘শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ছিলেন উপমহাদেশের এক অনন্যসাধারণ প্রজ্ঞাবান ও বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ। তিনি দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সংগ্রাম করে গেছেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। রাজনীতি, সমাজ, শিক্ষা, কৃষিসহ দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে প্রভূত অবদান রাখেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘ঋণ সালিশী বোর্ড গঠনের মাধ্যমে বাংলার শোষিত ও নির্যাতিত কৃষককুলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করতে সমর্থ হয়েছিলেন। তিনি বঙ্গীয় চাকুরী নিয়োগবিধি, প্রজাস্বত্ব আইন, মহাজনি আইন, দোকান কর্মচারী আইন প্রণয়ন করেন, যা এ অঞ্চলের অবহেলিত কৃষক-শ্রমিকের ভাগ্যোন্নয়নে যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। আমাদের জাতীয় ইতিহাসে শেরে বাংলা ফজলুল হক ছিলেন এক অনন্য প্রতিভার অধিকারী। স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিকবোধ সৃষ্টিতে তার অসামান্য অবদানের কথা এদেশের মানুষের মন থেকে কোনদিনই বিস্মৃত হবে না।’
শেরে বাংলা আগামী প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে থাকবেন জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, ‘তার অসাধারণ ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আগামী প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের জন্য অনুসরণীয় হয়ে থাকবে। দেশ এবং জাতির কল্যাণে অবদানের জন্য ইতিহাসের পাতায় তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। আমি মহান নেতা শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
প্রসঙ্গত, এ কে ফজলুল হক ২৬ অক্টোবর ১৮৭৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৭ এপ্রিল ১৯৬২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রী, পূর্ববঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী, পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।