শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন, বাবার বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস নিলেন তরুণী

আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার জয়নগর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যুথি খাতুন ওই এলাকার জহুরুল ইসলাম জলুর মেয়ে।

শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন, বাবার বাড়িতে এসে গলায় ফাঁস নিলেন তরুণী

প্রথম নিউজ, পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতনের শিকার হয়ে যুথি খাতুন (২০) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার জয়নগর পশ্চিমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। যুথি খাতুন ওই এলাকার জহুরুল ইসলাম জলুর মেয়ে।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, পাঁচ বছর আগে পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামের মিন্টু হোসেনের ছেলে উৎস হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় যুথির। বিয়ের পর থেকেই স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে যুথির বনিবনা না হওয়ায় প্রায়ই তাকে মারধর করা হতো। রোববার (২০ আগস্ট) মারধরের খবর পেয়ে মেয়েকে নিজ বাড়ি জয়নগরে নিয়ে আসেন বাবা জহুরুল ইসলাম। এসময় তিনি যুথির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। সোমবার সকালে ঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে চার লাখ টাকা দিয়েছি। তিন মাস আগে আমাকে একটি অটোবাইক (অটোরিকশা) কিনে দেওয়ার জন্য যুথিকে বলে উৎস ও তার মা। এতে যুথি রাজি না হলে তাকে মারধর করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পর পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। রোববার আবারও টাকা দাবি করে যুথিকে মারধর করায় সে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তাকে বাড়িতে এনেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘যুথি আত্মহত্যা করার মতো মেয়ে না। তাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচনা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উৎস ও তার মায়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’

সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বলেন, যুথির আত্মহত্যার বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।