শপথ নিলেন দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিন
আজ বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: দেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। আজ বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শপথবাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, সামরিক-বেসামরিক আমলারা যোগ দেন। এ ছাড়াও শপথ অনুষ্ঠানে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট নাগরিকরা অংশ নেন।
নতুন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী রেবেকা সুলতানা, ছেলে আরশাদ আদনানসহ পরিবারের সদস্যরা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, বঙ্গভবনের দরবার হলে শপথ গ্রহণের পরপরই প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ তার উত্তরাধিকারী নতুন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হন নতুন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন।
মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন। পাবনা শহরের পূর্বতন গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ে রাধানগর মজুমদার অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হন চতুর্থ শ্রেণিতে। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাসের পর পাবনার এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হয়ে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে।
এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে) বিএসসি পাস করেন করেন মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ও পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি পান।
১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়কের পদে থাকা সাহাবুদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ছাত্রলীগের সক্রিয় কাজের ধারাবাহিকতায় ১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কৃষক-শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠিত হলে তিনি পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মনোনীত হন।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর কারাবরণ করেন সাহাবুদ্দিন। কারামুক্তির পর পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি।