শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি, বিএনপিসহ ৩৯ দলের
প্রথম নিউজ, ঢাকা : শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি, বিএনপিসহ ৩৯ দলের
কোটা বাতিলের একদফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ‘স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ৩৮ রাজনৈতিক দল।
মঙ্গলবার রাতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সব রাজনৈতিক দলের পক্ষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
সরকারকে হুঁশিয়ার করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দমন-নিপীড়ন করে অতীতের কোনো স্বৈরাশাসকের যেমন শেষ রক্ষা হয়নি, বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারও দমন-নিপীড়ন করে শেষ রক্ষা করতে পারবে না।’
বিবৃতিতে দেশবাসীকে ছাত্রসমাজের ন্যায্য ও গণতান্ত্রিক দাবির পক্ষে সোচ্চার হওয়ার উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি পূরণে কার্যকরী ও বিশ্বাসযোগ্য উদ্যোগ নেওয়ার পরিবর্তে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে।সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগসহ তাদের বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রায় সারা দেশে হামলা, আক্রমণ ও গুলিবর্ষণ করেছে। গণমাধ্যমের সংবাদ অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে এ ঘটনায় ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আরও বলা হয়,‘ গত ৪৮ ঘণ্টায় চিহ্নিত সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে দেশব্যাপী সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। এই ঘটনার পুরো দায়-দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলের। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যেভাবে উসকানি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক আন্দোলন মোকাবিলা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- তা গত দুই দিনের সমগ্র ঘটনার ক্ষেত্র তৈরি করেছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই পরিকল্পিত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের তীব্র প্রতিবাদ করে বলতে চাই, দমন-নিপীড়ন ও সহিংসতা চালিয়ে সরকার আজ এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, এখনও পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত শতাধিক সরকারদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়নি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘পুলিশের গুলিতে ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় শিক্ষার্থীরা প্রাণ হারিয়েছেন’। তাদের জন্য গভীর শোক প্রকাশ করে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় বিবৃতিতে। একই সঙ্গে অনতিবিলম্বে কোটা ব্যবস্থার ন্যায্য ও যৌক্তিক সংস্কারের দাবি অবিলম্বে মেনে নেওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।