রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন চায় ফ্রান্সের প্রতিনিধি দল, ইসির নাকচ
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এবার সেই রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে জানাতে চেয়েছে ফ্রান্স অফিস ফর রিফিউজ অ্যান্ড স্টেটলেস পারসনের (ওএফপিআরএ) প্রতিনিধি দল। তবে ওএফপিআরএ -এর এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আজ বুধবার (১৪ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট ছয়টি বিষয় নিয়ে বৈঠক করে ফ্রান্স থেকে আসা ওএফপিআরএ -এর প্রতিনিধি দল। ওএফপিআরএ -এর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন তথ্য ও ডকুমেন্টশন বিভাগের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ক্লিয়ার লুমায়ুক্স। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ফ্রানসিস এক্সভিয়ার ভেয়িলার্ড, লোরেন ব্লার্ড, জোরেম কেমুস। তারা ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন সিস্টেম, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া, নির্বাচনী আইন, নির্বাচন প্রচারণা এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।
ইসির পক্ষে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। উপস্থিত ছিলেন এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর, নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা ১ ও ২ এর যুগ্মসচিব ও কমিশনের আইন শাখার যুগ্মসচিব। সভা শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব ঢাকা পোস্টকে বিস্তারিত জানান।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ভোটার রেজিস্ট্রেশনসহ তাদের কিছু এজেন্ডা ছিল সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। মূলত তারা আমাদের ভোটার রেজিস্ট্রেশনের প্রসেসের বিষয়ে জানতে এসেছিল। আমরা কিভাবে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করি, সে বিষয়ে তাদের জানিয়েছি। তারা আমাদের ভোটার রেজিস্ট্রেশনের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য এসেছিল।
জাতীয় নির্বাচনে ফ্রান্স পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবে কি না? -এ বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফ্রান্স সরকারের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে চায়। আমরা আমাদের পর্যবেক্ষক নীতিমালার বিষয়ে তাদের বলেছি। তারা প্রতিবারই আসে এবং তাদের বিভিন্ন সংগঠন এসেছে। আজকে যারা এসেছিল তারা মূলত অভিবাসী নিয়ে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন, যারা এসেছিল তারা বাংলাদেশের আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করতে চায়। তারা আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল রোহিঙ্গাদের রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা যায় কি না। আমরা তাদের জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো সুযোগ আমাদের নেই। এছাড়া, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়েও তারা জানতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি, আমাদের রোডম্যাপ অনুযায়ী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা হবে।